প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নি:সন্দেহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির রাজনৈতিক জীবনে একটি মাইল ফলক। চারমাসেরও বেশি সময় কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর, পদব্রজে ভ্রমণ করে দেশব্যাপী আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন প্রাক্তন ওয়ানার সাংসদ। পরবর্তী কালে লোকসভায় আদানি প্রতারণা ইস্যুতে সরব হওয়া এবং তার সূত্রে চার বছরের পুরনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ – প্রতিটি ঘটনার পূঙ্খানুপুঙ্খ নিরিখে রাহুলের জনপ্রিয়তা ক্রমেই ঊর্ধ্বগামী তা আবারও প্রমাণ হল এক পরিসংখ্যানে।
সূত্র অনুযায়ী ‘লোকনীতি-সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজে’র সঙ্গে একযোগে সারা দেশব্যাপী একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেল। আর তাতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্পর্কে উঠে এসেছে চমকে দেওয়া তথ্য। ভারত জোড়ো যাত্রার পরে রাহুলের জনপ্রিয়তা রেটিং যথেষ্ট বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় জানা গেছে সারা দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ পছন্দ করেন রাহুলকে, মোদিকে পছন্দ করেন ৪০ শতাংশ মানুষ। দেশের ১৬% মানুষ আজও পছন্দ করেন না, অন্যদিকে ২৩% মানুষের অপছন্দ মোদি৷
প্রসঙ্গত, ১০-১৯ মে’র মধ্যে ১৯টি রাজ্যে এই সমীক্ষা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএর উপর প্রায় ৪৩ শতাংশ উত্তর দাতার সমর্থন রয়েছে। তারাই স্থায়ী সরকার তৈরি করতে পারবে বলে মতামত দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ৩৮ শতাংশ ব্যাপারটা মানতে চায়নি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, এখনও ৪০ শতাংশ লোক মোদিকেই দেশের প্রথমসারির জনপ্রিয়তম নেতা বলে মানেন, আর তাকে অপছন্দ করেন ২৩ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে একটি টুইস্ট দেখা গেছে রাহুল গান্ধিকে নিয়ে৷ সারা দেশে ২৬ শতাংশ মানুষ এমন আছেন যারা বরাবর পছন্দ করে এসেছেন রাহুলকে, এছাড়া ১৫ শতাংশ মানুষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ভারত ছোড়ো যাত্রার কৃতিত্বের সুবাদে৷ অর্থাৎ দুটি পরিসংখ্যান মিলিয়ে জনপ্রিয়তায় মোদির চাইতে ১ শতাংশ বেশি পেয়েছেন রাহুল গান্ধি৷ তাকে অপছন্দ করেন ১৬ শতাংশ মানুষ, মোদির তুলনায় যা ৭% কম।
তবে কর্ণাটকে শোচনীয় হারের পরেও মোদির জনপ্রিয়তা কমেনি। দেখা যাচ্ছে বিজেপির ভোট শতাংশ ২০১৯ সালে ছিল ৩৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটাই হয়েছে ৩৯ শতাংশ। আর কংগ্রেসে ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯ শতাংশ। এই সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পছন্দের তালিকায় আরও অনেকেই ছিলেন। তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল পেয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশ সমর্থন। অখিলেশ যাদব ৩ শতাংশ পেয়েছেন সমর্থন। নীতীশ কুমার ১ শতাংশ সমর্থন আর বাকি ১৮ শতাংশ অন্য প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান।
কার্তিক দাস, খড়িবাড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন অধিকারীর বারাসতভিটার সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র…
ফালাকাটা: হাতির হামলায়(Elephant Attack) ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হল ফালাকাটার(Falakata) বংশীধরপুর, রাইচেঙ্গা ও কালীপুর গ্রামে। শনিবার রাতে…
বালুরঘাট: বর্তমানে নীলগাই বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। অনেকে এই নীলগাই দেখে বাছুর ও হরিণের মিশ্রণ…
দেবাশিস দাশগুপ্ত গত ৭ মে নিজের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বিভিন্ন বুথে ঘুরে ঘুরে ভূত তাড়িয়েছেন।…
সুমন ভট্টাচার্য সুকান্ত মজুমদার যদি রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় বিরোধী…
This website uses cookies.