রায়গঞ্জ: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে তার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। ওই ঘটনায় সোমবার তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া একটি গ্রামে। স্থানীয়রা অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গণধোলাই দেয়। তার মোটরবাইকটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিগৃহীত মহিলার একটি মুদিখানা দোকান রয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি খইনি কেনার পর তাঁর নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেয়। বিষয়টি বুঝতে না পেরে ওই মহিলা তাঁর আধার কার্ড, র্যাশন কার্ড সহ সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে বাড়ির ভেতরে যেতেই সকলের অলক্ষ্যে অভিযুক্তও বাড়িতে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, এরপর মহিলার ঘরে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে দুষ্কৃতী। বিপদ বুঝতে পেরে আক্রান্ত মহিলা চিৎকার-চ্যাঁচামেচি শুরু করলে অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। তাঁর চ্যাঁচামেচির আওয়াজ শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে লোকটিকে বেঁধে ফেলে। তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। অভিযুক্তের মোটরবাইকটি পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
রাতে রায়গঞ্জ থানায় এসে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা মহিলা। জানা যায় অভিযুক্তের বাড়ি রায়গঞ্জের বারোদুয়ারি এলাকায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্ত। যারা বাড়ি গিয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেবে তাদের নামে থানায় অভিযোগ করতে হবে। কারণ, এদের একটা চক্র সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
নিগৃহীত মহিলার কথায়, দোকান চালাচ্ছিলাম, সেই সময় একজন এসে খৈনি চায়। এরপর জানতে চায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান? আমি বলি এখন পাই না,পরে পাব। এরপর কাগজপত্র দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন আমি বাড়ির ভেতর যেতেই চুপ করে ভিতরে ঢুকে পড়ে। আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতেই চ্যাঁচিয়ে উঠি। বাসিন্দারা এসে তাকে ধরে ফেলে। তাঁর দাবি, লোকটিতে চিনি না। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য গ্রামের অনেক মহিলা একে ওকে বলে। সেই সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত এই কাজ করেছে।