দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: বিজ্ঞাপনী সংস্থার ফ্লেক্স-ফেস্টুনে ভরে গিয়েছে রায়গঞ্জ শহর। কোথাও আবার ঝুলছে ছেঁড়া ফ্লেক্স। এতে দৃশ্য দূষণ হচ্ছে বলে জানালেন শহরবাসী।
পরিবেশকর্মী কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ব্যানার বা ফ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা উচিত নয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে ফেলা উচিত। এতে শহরকে সুন্দর দেখাবে।’
শহরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক প্রদ্যুৎ মিত্র বললেন, ‘রায়গঞ্জ শহরে ছেঁড়া ফ্লেক্স ঝুলে থাকা ও যেখানে সেখানে ব্যানার, ফ্লেক্স লাগানোয় দৃশ্য দূষণ হচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রে পুরসভার নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি।’
রায়গঞ্জ পুরসভার নির্দেশিকা উপেক্ষা করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ফ্লেক্স বা ব্যানার লাগিয়ে দিচ্ছে। কোথাও বহুতলের ওপরে বিপজ্জনকভাবে লাগানো হয়েছে হোর্ডিং। আবার কোথাও হোর্ডিং, ফ্লেক্স বা ব্যানার ইলেক্ট্রিক পোলে বা গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই দিনের পর দিন থেকে যাচ্ছে সেগুলি। এমন দৃশ্য সব চাইতে বেশি দেখা যায় শিলিগুড়ি মোড় থেকে রাসবিহারী মার্কেট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত।
রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ির কথায়, ‘অবশ্যই বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যবসায়ীরা পুরসভা বা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হোর্ডিং লাগিয়ে থাকে। কিন্তু রায়গঞ্জ শহরে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফ্লেক্স ও ব্যানারগুলি অনেকদিন ধরে লাগানো থাকে। আয়োজকদের উচিত অনুষ্ঠান শেষ হলে সেগুলো খুলে ফেলা।’
তবে এব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা। পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘আগে আমরা অবৈধভাবে লাগানো ফ্লেক্স, ব্যানার সরিয়ে দিয়েছিলাম। যে সমস্ত ব্যবসায়ী পুরসভার নিয়ম না মেনে ব্যানার, ফ্লেক্স লাগিয়েছেন তাঁদের কাছে সেগুলি খুলে ফেলার আবেদন জানানো হবে। না হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংয়ের কারণে শহরে এমনিতে দৃশ্য দূষণ হয়। তার ওপর ছেঁড়া ফ্লেক্স এবং হোর্ডিং। কোন রাস্তায় কী ধরনের হোর্ডিং থাকতে পারে এবং সেগুলি কীভাবে বসানো উচিত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিলে ভালো হয় বলে মনে করছেন শহরবাসীর অনেকেই।