রায়গঞ্জ: পণের দাবিতে চলত অত্যাচার। বিয়ের তিন মাসের মাথায় আত্মঘাতী হলেন বধূ! রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকার ঘটনা। মৃত বধূর নাম সুপর্ণা নায়েক (২০)। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুপর্ণার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ। এর জেরে সুপর্ণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে বাপেরবাড়ির দাবি। সুইসাইড নোটে স্বামী বাবন শিকদার ও ননদ তপতি শিকদারের নাম লেখা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
মাস তিনেক আগে রায়গঞ্জের দেবীনগরের সুপর্ণার সঙ্গে কলকাতার বরানগর থানা সংলগ্ন আখড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী বাবন শিকদারের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সুপর্ণার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মাঝে মধ্যেই ননদ তপতি শিকদার সুপর্ণাকে মারধরও করত। পণের দাবিতে নববধূর ওপর অত্যাচার চলত বলে মৃতার বাপেরবাড়ির দাবি। অভিযোগ, সম্প্রতি সুপর্ণার থেকে সমস্ত সোনার গয়না ছিনিয়ে নেয় ননদ। দিনকয়েক আগে স্বামী ও ননদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন সুপর্ণা। জামাইষষ্ঠীর দিন দেবীনগরের বাড়িতে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন নববধূ।
পুলিশ জানিয়েছে, বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে।