রায়গঞ্জ: বাইরে থেকে যারা বাসে চেপে রায়গঞ্জ শহরে আসেন, তাদেরকে নামতে হয় শিলিগুড়ি মোড়ে। সেই শিলিগুড়ি মোড় থেকেই রাস্তা বেরিয়ে গিয়েছে বালুরঘাট, মালদা তথা শিলিগুড়ির দিকে। এত জনসমাগম যেখানে, সেই শিলিগুড়ি মোড়েই রাস্তাজুড়ে পড়ে থাকছে ঘর গৃহস্থালির আবর্জনা। একদিকে যেমন চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে মানুষের, তেমনি দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছেন মানুষ।
এদিনই সরকারি বাসে মালদা থেকে এসে শিলিগুড়ি মোড়ে নেমেছেন গৌর হালদার। তার গন্তব্য কর্ণজোড়া। তিনি বলেন, ‘এখানে নেমে প্রথমেই দুর্গন্ধে বমি পেয়ে গিয়েছিল। তারপর দেখলাম রাস্তার ওপরেই আবর্জনা এড়িয়ে চলছেন পথচলতি মানুষ। নোংরা এড়াতে গিয়ে মাঝরাস্তায় চলে আসছেন পথচারীরা। শিলিগুড়ি মোড়েই যদি এত নোংরা হয়, তাহলে শহরটা কি আরও নোংরা, প্রশ্ন তোলেন তিনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা শতাব্দী রায় বলেন, ‘এই পথ দিয়েই নিয়মিত বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাতায়াত করি। নোংরাগুলো রায়গঞ্জমুখী রাস্তার প্রায় অর্ধাংশ দখল করে রাখে। এতে চলাচলে ভীষণ অসুবিধা হয়। আর নোংরা সরে গেলেও পড়ে থাকা অংশের দুর্গন্ধে চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে যায়। তবুও বাচ্চাকে নিয়ে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলাচল করি। পুর প্রশাসন কোনও নজর দেয় না।’
নোংরার মধ্যে খাবারের উচ্ছিষ্ট থাকায় গোরু, ছাগল, পথকুকুরের ভিড় হয়। রাস্তায় নেমে সেই উচ্ছিষ্ট খেতে গিয়ে তারাও মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রায়গঞ্জ পিপলস ফর অ্যানিমালসের সম্পাদক অজয় সাহা। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সামনেই রয়েছে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল। এভাবে আবর্জনা থাকায় পড়ুয়াদের বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। পুর প্রশাসন দায়িত্ব নিক।’
যদিও রায়গঞ্জ পুরসভার স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর নয়ন দাস বলেন, ‘পুরসভার কর্মীরা বাড়ি থেকে আনা নোংরা ওখানে ফেলে। তারপর বড় গাড়িতে করে সেটা নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝের সময়টুকু শুধুমাত্র নোংরা পড়ে থাকে। আমি পুরসভার কর্মীদের এই বিষয়টি দেখতে অনুরোধ জানাব।’