রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ শহরে বেশ কিছুদিন ধরে বেড়ে চলেছে চুরি- ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। বিভিন্ন দোকান থেকে জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। তাই এমন চুরির ঘটনা রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ। পুলিশের তরফে নিরাপত্তা নিয়ে বণিকসভার বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়।
এরপর সোনার দোকান, পেট্রোল পাম্প সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সমবায় ব্যাংকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য চালু করা হল বিশেষ সিকিউরিটি ডিভাইস। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ডিভাইসটি লাগানো থাকবে, সেগুলির সংযোগ থানাতেও থাকবে। চুরি বা অন্য কোনও ঘটনা হলে থানায় সিগন্যাল চলে যাবে। তৎক্ষণাত পুলিশ সেখানে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারবে।
ডিভাইসটির সঙ্গে একটি সিমকার্ড যুক্ত থাকবে। তার সঙ্গে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকের ফোনের সিমকার্ডের সঙ্গে এই ডিভাইসের সংযোগ থাকবে। অত্যাধুনিক ওই সিস্টেম অনুযায়ী থাকবে একটি ফুড প্যাডেল ও হ্যান্ড রিমোট। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে বা ব্যাংকে যদি দুষ্কৃতীরা হানা দেয় বা চুরির ঘটনা হয়, সেই সময় রিমোট টিপলে তৎক্ষণাৎ পুলিশের কাছে তথ্য পৌঁছে যাবে। আবার যদি দেখা যায় বন্ধ দোকানে কেউ শাটার খোলার চেষ্টা করে বা দোকানের ভিতরে ভল্ট খোলার চেষ্টা করে, মুহূর্তের মধ্যে সেন্সরের মাধ্যমে ডিভাইসটি সক্রিয় হয়ে উঠবে। পাশাপাশি ডিভাইসের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজ পাঠানো যাবে। ডিভাইসটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাগানোর জন্য প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে।
ডিভাইস কোম্পানির তরফে সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘ডিভাইসটি ইনস্টল করলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত থাকবে। ইতিমধ্যে নয়টি জায়গায় এই ডিভাইসটি ইনস্টল করা হয়েছে।’ বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপ্লব ঘোষ জানালেন, দোকানের নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের ডিভাইস খুব ভালো।
রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শান্তনু দাসের বক্তব্য, ‘প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছি আমরা। সোনার দোকান, ব্যাংক, পেট্রোল পাম্প সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে বিগতদিনে অনেক চুরি ও ডাকাতির ঘটনা হয়েছে। তবে এই ধরনের সিকিউরিটি ডিভাইস সিস্টেম খুব গুরুত্বপূর্ণ।’