রায়গঞ্জ : শিক্ষাকর্মী তপন নাগের সাসপেনশন প্রত্যাহার সহ তাঁকে সসম্মানে ফিরিয়ে আনার দাবিতে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সহ অন্য আধিকারিকদের রাতভর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যদের পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও।
তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী তপনের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে রাজি থাকলেও তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দিতে চাইছেন না উপাচার্য। এরই প্রতিবাদে তাঁরা তাঁকে সারা রাত ঘেরাও করে রাখেন। রাতে পুলিশ আসে ক্যাম্পাসে। চিকিৎসকও এসে দেখে যান উপাচার্যকে।
সকালে রেজিস্ট্রার সহ অন্যরা বাড়ি গেলেও উপাচার্য চেম্বারেই থেকে যান। সকাল ৯টা নাগাদ তিনি জানান, তাঁর শরীর ভালো লাগছে না। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষাকর্মীরা দ্রুত তাঁকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। তাঁকে ভর্তি করা হয়। উপাচার্য বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। সারা রাত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকায় রক্তচাপ আপ-ডাউন করেছে। তাই শরীরটা ভালো নেই।’
আন্দোলনরত শিক্ষাকর্মী বিজয় দাস বললেন, ‘আমরা কাউকে আটকে রাখিনি। ওঁরা নিজেরাই ভেতরে ছিলেন। রেজিস্ট্রার সকালে বাড়ি চলে গিয়েছেন। কিন্তু উপাচার্য চেম্বারে ছিলেন। তাঁর শরীর ভালো লাগছে না শুনে আমরাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। উনি আমাদের মূল দাবি মানেননি। এদিনও আন্দোলন চলবে।’ একই কথা বললেন সুবীর চক্রবর্তীও। এবিষয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, ‘উপাচার্যের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জোর দেওয়া।’