রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিকেলে হুইলচেয়ার না পেয়ে এক বৃদ্ধা তাঁর স্বামীকে পিঠে করে নিয়ে যাওয়ার ছবি রাজ্যজুড়ে ভাইরাল হয়েছে। বিরোধীরা এটাকে হাতিয়ার করে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে।
ঘটনার জেরে এদিন রায়গঞ্জ মেডিকেলের রোগীকল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দলের কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করেন। মেডিকেলের রোগীদের দেখভালের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখার দায়িত্ব তাঁদের উপর বর্তায়। তবে এনিয়েও বিরোধীরা সরব হয়েছে। এবার হুইলচেয়ারের ঘটনা সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেডিকেলের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে অনেকে।
যদিও বিধায়কের অনুগামীদের দাবি, রায়গঞ্জের মেডিকেল কলেজকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করে বিধায়কের বদনাম করা হচ্ছে। মানুষ ভালোভাবে মেনে নিচ্ছে না। বিধায়ক মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
মেডিকেল কলেজের স্বেচ্ছাসেবক সুবীর ধর জানান, ‘বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী মেডিকেল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি হতেই আমূল পরিষেবার পরিবর্তন হয়েছে। সকল মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছি। হুইলচেয়ার নিয়ে নোংরা রাজনীতি করা হয়েছে। এটা কারা করছে এবং কেন করছে, তা বুঝতে পারছেন বিধায়ক।’
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বক্তব্য, ‘ছবি তুলে নিয়ে সেই ছবি বিক্রি করে স্বার্থসিদ্ধি করতে এই কাজ করা হয়েছে। আমি বিধায়ক হতে পারি, তার আগে আমি একজন নাগরিক। আমি যদি এমন দেখতাম তবে ছুটে যেতাম তার কাছে। তা না করে যিনি এই ছবি তুলেছেন তিনি রায়গঞ্জকে ভালোবাসেন না। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ, এটা বিরোধীরা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা হুইলচেয়ার নিয়ে প্রথম দৌড়ে গিয়েছে। পরিষেবা দেওয়ার জন্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে যেই করুক না কেন, যারা এই কাজ করেছে তারা মানবিকতার পরিচয় দেননি।’ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘রায়গঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসা পরিষেবা নেই। পুরোটাই ভেঙে পড়েছে। আমরা জেলাজুড়ে আন্দোলনে নামব।’