বালুরঘাট: বালুরঘাট রেল স্টেশন সৌন্দর্যায়নের জন্য দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করল রেল মন্ত্রক। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দ্রুত স্টেশন নতুনভাবে জেলাবাসীর জন্য সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি। এমনকি স্টেশনের ভেতরে পর্যাপ্ত বসার জায়গা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সাংসদের এমন ঘোষণার পর খুশির হাওয়া জেলাজুড়ে।
২০০৪ সালে ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বালুরঘাটের প্রবেশ ঘটে। তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এসে রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন। তারপর এক এক করে ট্রে চলতে শুরু করে বালুরঘাট থেকে। প্রথম দিকে মালদাগামী গৌড় লিংক পায় এই জেলা। ক্রমশ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বর্তমানে বালুরঘাট থেকে হাওড়া, কলকাতা চিৎপুর, শিলিগুড়ি ও নবদ্বীপের ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু এখনও রেল স্টেশনের রূপ সেই দুই দশক আগে যেমন ছিল, ঠিক তেমনটাই থেকে গিয়েছে। কারণ তেমনভাবে কোনও সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়নি এই স্টেশনে। যদিও ট্রেনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নতুন প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। ওভার ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পানীয় জল নেই। স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে চেয়ারের সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। আলো ও ফ্যানের ঘাটতিও রয়েছে স্টেশনে। সবকিছুই এবার ঢেলে সাজাতে চাইছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশন। স্টেশনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক নান্দনিক ছবি দিয়েও সাজানোর প্রস্তাব আছে।
শিক্ষক তথা নাট্যকর্মী গগন ঘোষ জানান, বাইরের দিকের রেল স্টেশনগুলি সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশনের রূপ বদলে গিয়েছে। বালুরঘাট সংস্কৃতির শহর। এখানে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়। সেইসব বিষয়কে মাথায় রেখে যদি এই স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হয়, তাহলে এই শহর তথা জেলার সংস্কৃতিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসা যাবে।
এই বিষয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বালুরঘাটে যখন প্রথম রেল যাতায়াত শুরু হয়, তখন অনেকেই স্টেশনে ঘুরতে আসতেন। এবার সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হবে। দুই কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও হয়ে গিয়েছে। এখানে বিভিন্ন ছবি লাগানো হবে। সুন্দর বসার জায়গা থাকবে। পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়াও, বিভিন্ন কাজ করা হবে। আগে যেমন অনেকেই স্টেশনে ঘুরতে আসতেন, আবার আসবেন।’