উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণবাবদ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে জনা কয়েক নিহত ও আহত যাত্রীদের পরিবারের হাতে। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত আহতদের পরিবার যাতে নির্বিঘ্নে ক্ষতিপূরণ পায় তার জন্য একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে রেলমন্ত্রকের তরফে। বর্তমানে ওডিশার ৭টি জায়গা থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের কাজ চলছে।
শুক্রবার বালেশ্বরে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা রোখা না গেলেও, তারপরে উদ্ধারকাজ ও রেললাইন মেরামতিতে যে তৎপরতা দেখিয়েছে রেল মন্ত্রক, তা যা যথেষ্টই প্রশংসার দাবি রাখে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, দ্রুত রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রেললাইনের সংস্কার, যাবতীয় কাজের মাঝেই নিহত ও আহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার কাজও শুরু করে দিয়েছে রেল মন্ত্রক। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত বা নিখোঁজদের খোঁজ খবর নিতে পারেন পরিবারের লোকেরা সেই কারণে একটি বিশেষ হেল্প-লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরটি হল ১৩৯। ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকছে এই হেল্প লাইন নম্বর। এই হেল্প লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী ও পরিবারের লোকেদের সবরকম সহায়তা করতে রেলের শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের দুর্ঘটনার পরই রেলমন্ত্রকের তরফে ক্ষতিপূরণ বাবদ নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা ও অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার রেল মন্ত্রকের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত ও নির্বিঘ্নে যাতে এই ক্ষতিপূরণ বিতরণ সম্পন্ন হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নিহত ও আহতদের পরিবার প্রয়োজনে ১৩৯ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে পারেন ক্ষতিপূরণ আদায়ে যাবতীয় তথ্য।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮৫ জন যাত্রীকে মোট ৩.২২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ও ৫০ জন গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলওয়ের তরফে আপাতত সাতটি জায়গা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, এগুলি হল- সোরো, খড়্গপুর, বালেশ্বর, খান্তাপারা, ভদ্রক, কটক ও ভুবনেশ্বর।
রেলওয়ের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পর এখনও বহু মৃতদেহের শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি। বহু যাত্রী নিখোঁজ। ১৩৯ নম্বরে ফোন করলে, জোনাল রেলওয়ে ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। ক্ষতিপূরণ নিয়েও যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।