আলিপুরদুয়ার: লাগাতার সাতদিন ধরে বৃষ্টি চলছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। ভারী বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জলে টইটুম্বুর। সাধারণ মানুষ জলবন্দি। বেশ কয়েক জায়গায় নদীর বাঁধ, রাস্তা ভাঙার অভিযোগ সামনে এসেছে। বৃষ্টিতে বিভিন্ন সমস্যায় রাস্তায় নেমে আন্দোলনও দেখেছে আলিপুরদুয়ার। এরই মাঝে আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন জংশন এলাকায় শ্যামাপ্রসাদ বিদ্যামন্দির ফর গার্লস স্কুলে দেখা গেল অন্যরকম ছবি। ভারী বৃষ্টি অনেকের কাছে অভিশাপ হলেও এই স্কুলের কাছে সেটা আশীর্বাদ। কারণ বৃষ্টি হলে পাম্প চালিয়ে জল তুলতে হচ্ছে না। ফলে স্কুলের বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়।
শুধু বিদ্যুৎ খরচ নয়। কম খরচ হচ্ছে ভূগর্ভস্থ জলও। কিন্তু কী করে? আসলে এই স্কুলে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই জল পাইপলাইনের মাধ্যমে স্কুলের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পে স্কুলের এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। আলিপুরদুয়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আসানুল করিমের কথায়, ‘কয়েকটি স্কুল নিজের উদ্যোগে এরকম প্রকল্প শুরু করেছে। কয়েকটি স্কুলে সরকারের তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে সব জায়গায় প্রকল্প ঠিকভাবে কার্যকরী হয়নি। প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই স্কুল যেভাবে এই প্রকল্পকে কাজে লাগিয়েছে, সেটা সত্যিই প্রশংসার।’
স্কুলের ছাদে বৃষ্টির জল পড়লে সেই জল পাইপের মধ্যে দিয়ে দুটো বড় ট্যাংকে জমা হচ্ছে। সেই ট্যাংক থেকে আলাদা পাইপলাইনে বিভিন্ন জায়গায় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। যাতে পরিষ্কার জল মেলে, সেজন্য নিয়মিত ছাদ পরিষ্কার করা হয় বলে জানাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সংরক্ষিত জল দিয়ে কী কী কাজ করা হয়? বৃষ্টির সংরক্ষিত জল দিয়ে মিড-ডে মিলের বাসন ধোয়া হচ্ছে। এছাড়া, ছাত্রীরা হাত পরিষ্কারের জন্য সেই জল ব্যবহার করছে। সেইসঙ্গে বাগানের গাছে জল দেওয়ার জন্যও বৃষ্টির জল ব্যবহার করে পড়ুয়ারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা সরকার জানান, প্রায় দু’বছর আগে স্কুলের নিজের খরচে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এজন্য খরচ হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা। স্কুলে ছাত্রীসংখ্যা ৩৭০। প্রতিদিন সব কাজ মিলিয়ে স্কুলে প্রায় ২ হাজার লিটার জলের দরকার পড়ে। বৃষ্টি হলে প্রতিদিন ১ হাজার লিটার জল পাওয়া যায় সেখান থেকে। তাঁর কথায়, ‘এই উদ্যোগের ফলে বৃষ্টির জলকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভূগর্ভের জল নষ্ট হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির জন্য বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছিল। পাম্প চালানো যাচ্ছিল না। এক্ষেত্রে বৃষ্টির জল অনেকটা কাজে লাগছে।’
স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তৃষা দে, কোয়েল দত্তরা স্কুলের এই উদ্যোগে পাশে ছিল। তৃষা বলল, ‘আমরা সবাই বৃষ্টির জল ব্যবহার করি। তারপর বাড়িতে গিয়ে জল ব্যবহার নিয়ে বড়দের বলেছি।’
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ তুলল…
আসানসোল: রাজ্য জুড়ে বেআইনি জবরদখল নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্নে আরও এক…
কোচবিহার: নিট (NEET) ও নেট (NET)-এ দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) ও…
ঘোকসাডাঙ্গা: বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের ঘটনা।…
রায়গঞ্জ: এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রতিবেশী দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায়…
হরিশ্চন্দ্রপুর: এক তরুণীর অশ্লীল ছবি ভাইরাল করার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো। জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের (Harishchandrapur)…
This website uses cookies.