প্রিয়দর্শিনী বিশ্বাস, শিলিগুড়ি: পদ্মশ্রী পাওয়ার পরই তিনি বলেছিলেন, এখন তাঁর লক্ষ্য সাতখণ্ড রামায়ণ প্রকাশ করা। অবশেষে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে নগেন্দ্রনাথ রায়ের (Nagendranath Roy)। বাংলা নতুন বছরের প্রথমদিন বা পয়লা বৈশাখে প্রকাশ হতে চলেছে রাজবংশী ভাষায় তাঁর অনুবাদ করা রামায়ণ (Ramayana)। কেন তাঁকে পদ্মশ্রীর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট না করলেও এই সম্মানের ক্ষেত্রে রাজবংশী ভাষায় আঁর অনুবাদ করা রামায়ণকেই বিভিন্ন মহল তুলে ধরেছিল। পদ্মশ্রী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রামায়ণের কথা বলেছেন নগেন্দ্রনাথও। কাওয়াখালি জুনিয়ার হাইস্কুলে ১৫ এবং ১৬ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মানিত করার পাশাপাশি তাঁর অনুবাদিত রামায়ণ প্রকাশ করা হবে বলে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানায় রাজবংশী রামায়ণ পাবলিকেশন এবং ফেস্টিভাল কমিটি। উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ডঃ অমলকান্তি রায়, সম্পাদক ডঃ পরিমলচন্দ্র রায় প্রমুখ।
১৫ এপ্রিল বিকেল ৩টায় কাওয়াখালি জুনিয়ার হাইস্কুলে নগেন্দ্রনাথের রাজবংশী ভাষার রামায়ণের প্রকাশ হবে। উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত থাকার কথা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মনের। রামায়ণ প্রকাশের পাশাপাশি রামায়ণ কেন্দ্রিক নানা পালাগান অনুষ্ঠিত হবে ওই দু’দিন। হবে রামমঙ্গল গান, রামায়ণকে কেন্দ্র করে ছোট ছোট নাটিকা, রামায়ণ পাঠ, গীতা পাঠ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত হবেন বলে আয়োজকদের আশা। ডঃ অমলকান্তি রায় বলেন, ‘মহর্ষি বাল্মীকির লেখা রামায়ণের অনুকরণে এই রামায়ণ রচিত হয়েছে। এই রামায়ণে রাজবংশী সমাজের মানুষের চাহিদা, সংস্কৃতির প্রতিফলনও ঘটেছে। এই গ্রন্থ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে রাজবংশী জাতির গৌরব বৃদ্ধি পাবে।’ কিছুদিন বাদেই নিজের অনুবাদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে জেনে যারপরনাই খুশি নগেন্দ্রনাথ। তাঁর কথায়, ‘এই আনন্দ আমার একার নয়, জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে আনন্দ সবার।’