নাগরাকাটাঃ অযোধ্যার (Ayodhya) নবনির্মিত মন্দিরে রামলালার (Ramlala) প্রাণ প্রতিষ্ঠার উচ্ছ্বাসে ভাসল নাগরাকাটা (Nagrakata)। মঙ্গলবার এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের একটি বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিজেপি (BJP) নেতাদের পাশাপাশি সেই শোভাযাত্রায় পা মেলাতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool congress) নেতা কর্মী সমর্থকদেরও। এই ঘটনায় জনতার আবেগের কাছে রাজনীতির রঙ যে পরাস্ত তা ফের প্রমাণিত হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিনের শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জন বারলা (Union Minister of State for Minority Affairs John Barla) সহ বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মনোজ ভুজেল, প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি নেতা শুক্রা মুন্ডা সহ অন্যরা। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের পাশাপাশি শুধু পথ হাঁটাই নয়। জনতার সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে সমবেতভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরের ব্লক কমিটির সভাপতি কাজী পান্ডে, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মেন্টর অমরনাথ ঝা, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গনেশ ওরাওঁদের। দুই শিবিরের নেতারাই অবশ্য এর মধ্যে রাজনীতি দেখছেন না।
এই প্রসঙ্গে জন বারলা বলেন, ৫০০ বছরের তপস্যার সুফল মিলেছে। এই উচ্ছ্বাস মানুষের আবেগের। এই উৎসব রামলালার ঘরে ফেরার সন্তুষ্টির। অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাজী পান্ডের কথায়, “রাম মন্দির তৈরি হয়েছে এটা অবশ্যই গর্বের বিষয়। এমন উচ্ছ্বাস অত্যন্ত সঙ্গত। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। যে কোনও রামভক্তই এতে শামিল হতে পারে।” তৃণমূলের দখলে থাকা নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, “অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে শোভাযাত্রায় যারা অংশ নিয়েছে তাঁদের জন্য ফলের রস খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এদিনের কর্মসূচিটির আয়োজন করে রামলালা আয়োজক সমিতি। তাঁদের পক্ষে নরেশ আগরওয়াল বলেন, “আলাদা করে কাউকে নেমন্তন্ন করা হয় নি। প্রতিটি রাম অন্ত প্রাণ মানুষই স্বতস্ফূর্ত ভাবে এতে শামিল হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও তাঁদের মত করে অংশ গ্রহন করে। এতে আমরা খুশি। সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গেছে আয়োজক সমিতির পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার শেষে প্রত্যেকের জন্য পুরি, সবজি, ফ্রায়েড রাইস, বোঁদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উদ্যোক্তা সমিতির সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল বলেন, ১০ হাজারের বেশী মানুষের মধ্যে ভান্ডারা বা প্রসাদ বিতরণ করা হয়।