অনুপ মণ্ডল, বুনিয়াদপুর: বংশীহারীতে নাবালিকা ধর্ষণের (Banshihari Rape Case) পাঁচদিন পর গ্রামে এসে পৌঁছাল ফরেন্সিক দল (Forensic Team)। ঘটনার পর থেকেই দিনরাত কড়া পুলিশি প্রহরায় ঘিরে রাখা হয়েছিল ঘটনাস্থল। ঘটনার পরদিন কিছু সামগ্রী পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেদিন ক্ষুব্ধ জনতাকে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ফরেন্সিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফরেন্সিক তদন্ত শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে গ্রামবাসীদের। তথ্য লোপাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেন অনেকে। সেই খবর প্রকাশ হয় উত্তরবঙ্গ সংবাদে। তা প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সোমবার তড়িঘড়ি বিকেল তিনটে নাগাদ ফরেন্সিক দলের প্রতিনিধিদলের তিন সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার ঘরের রক্তাক্ত বিছানা, জামাকাপড়ের টুকরোর অংশ ছাড়াও একটি ছেঁড়া বোতাম সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে। এক ঘণ্টা ঘর সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা তাঁরা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। সংগ্রহ করেন বিভিন্ন সামগ্রীর নমুনা।
রিজিওনাল ফরেন্সিক সাইন্স ল্যাবরেটরি জলপাইগুড়ি থেকে ওই দলের তিন প্রতিনিধি এসেছিলেন। প্রতিনিধিদলের সর্বময় কর্তা ছিলেন ডাক্তার মৌসুমি রক্ষিত সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের দুইজন সহযোগী। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের পর এলাকার অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে যান তাঁরা। সেখানে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। উঠোনে পড়ে থাকা ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় পরিদর্শন করেন। দুটি ঘরের ভিতরে গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন। এদিন নাবালিকার বাড়ি থেকে দুটি সুটকেস ও একটি ব্যাগে করে বিভিন্ন সামগ্রী নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁরা জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন।
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,‘ আজ ফরেন্সিক তদন্তের টিম এসেছিল। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সামগ্রী সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন। এর থেকে বেশি কিছু আর বলা যাবে না। তদন্ত চলছে।’