শেখ পান্না, রতুয়া: এবার থ্রেট কালচারের (Threat Culture) প্রভাব পড়ল মালদার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে (Ratua Rural Hospital)। কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হুমকি দিলেন এক রোগীর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় রোগীর দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার রাত ১১টা নাগাদ হাতে আঘাত নিয়ে রতুয়ার বালুপুর এলাকার বাসিন্দা অমরজিৎ গোস্বামীকে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন কর্মরত চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা৷ তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধরের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ৷ হাসপাতালে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার ও চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার খবর জানান রতুয়া থানায় (Ratua Police Station)। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় রাজেন মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিনপাড়া এলাকায়। পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।
ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অঙ্কুশ মণ্ডল বলছেন, ‘গতকাল রাত ১১.১৫ মিনিটে হাতে আঘাত নিয়ে অমরজিৎ গোস্বামী নামে এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ আমরা তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করি। তবে হাসপাতালে সব কিছু সবসময় অ্যাভেলেবল থাকে না। রোগীরর আত্মীয়-পরিজনদের একটি ওষুধ বাইরে থেকে নিয়ে আসতে বলা হয়। তখনই মদ্যপ অবস্থায় কিছু আত্মীয় পরিজন আমাদের টেবিল চাপাড়াতে থাকে ৷ অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে শুরু করে। তবে এই প্রথম নয়, মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাতে আমরা খুব কম সংখ্যক চিকিৎসক (Doctors) এবং স্বাস্থ্যকর্মী রাতে ডিউটি করি। রোগীদের আত্মীয়রা মাঝেমধ্যে নিজেদের গায়ের জোর দেখানোর চেষ্টা করেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, তাঁরা এবিষয়ে যথাযথ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন৷’