শিলিগুড়ি: রেড পান্ডা (Red Panda) সংরক্ষণে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেল দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক (Padmaja Naidu Himalayan Zoological Park)। ওয়াজা (ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জু’স অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়ামস)-র কনজারভেশন অ্যাওয়ার্ডের তিন ফাইনালিস্টের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। সোমবার ওয়াজা’র তরফে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে খুশি রাজ্য বন দপ্তরের কর্তারা। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘রেড পান্ডা প্রজনন এবং সংরক্ষণের জন্য দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় এসওপি তৈরি করে কাজ করা হয়।’
৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির (Sydney) ট্যারোঙ্গা চিড়িয়াখানায় অনুষ্ঠিত হবে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জু’স অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়ামস-এর ৭৯তম বার্ষিক সম্মেলন। সেখানেই কনজারভেশন অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
২০২২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে জন্ম নেওয়া ৯টি রেড পান্ডাকে সিঙ্গালিলার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। জঙ্গলে ছাড়ার পর এখন পর্যন্ত ৫টি রেড পান্ডার জন্ম হয়েছে বলে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে। রেড পান্ডার মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় পদক্ষেপ করা হয়েছে। গ্যামেট, ডিএনএ এবং টিস্যু সংরক্ষণের জন্য বায়ো ব্যাংকিং গবেষণাগারও তৈরি করা হয়েছে।
বন দপ্তর সূত্রের খবর, দার্জিলিং চিড়িয়াখানার অধীন তোপকেদাড়ায় বর্তমানে ১৯টি রেড পান্ডা রয়েছে। রেড পান্ডার জন্য চিড়িয়াখানায় আছে অত্যাধুনিক পরিবেশ।
প্রাণী সংরক্ষণে সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি), কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ও ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া যৌথভাবে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। সিঙ্গালিলার পর এবার নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানেও রেড পান্ডা ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে রাজ্য বন দপ্তর সূত্রে খবর।