রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: হাতির হানায় (Elephant Attack) পড়ুয়াদের পড়াশোনা লাটে ওঠার জোগাড়। পরিস্থিতি এমন যে তাদের নিয়মিত মিড-ডে মিলও (Mid-day Meal) জুটছে না। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের লাগোয়া বিদ্যালয়গুলিতে (School) স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর। কিন্তু ওই প্রস্তাব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নাকচ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে মিড-ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী মজুত রাখার জন্যে নিজেদের রেঞ্জের একটি ঘর দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন বন দপ্তরের ডাবগ্রামের রেঞ্জ অফিসার। কিন্তু সেখানেও খাদ্যসামগ্রী রাখতেও নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে, তারা আদৌ খুদে পড়ুয়াদের কথা ভাবছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিদ্যালয়ের টিচার-ইনচার্জ (Teacher-in-charge) কুসুম বিশ্বকর্মা বলেন, ‘ডিআই দপ্তর থেকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু অভিভাবকরা তা মানতে চাইছেন না। তাঁরা একথা শুনেই রেগে যাচ্ছেন। তাই পড়ুয়াদের কোনওভাবেই সরানো সম্ভব নয়।’ রাজগঞ্জ (পশ্চিম) সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (এসআই) শুভ্রজ্যোতি বর্মনের বক্তব্য, ‘স্কুল সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট আমি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাঠিয়ে দিয়েছি।’ ডাবগ্রামের রেঞ্জ অফিসার শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদারের কথায়, ‘আমি কর্তৃপক্ষকে বলেছি আমাদের রেঞ্জ অফিসে মিড-ডে মিলের সামগ্রী রাখতে। আমরা রোজ গাড়ি করে পৌঁছে দেব। কিন্তু ওঁরা রাজি নন।’
শিলিগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের ডাবগ্রাম (Dabgram) রেঞ্জের ছোটা ফাঁপড়িতে একটি সরকারি নেপালিমাধ্যম প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেটির অবস্থান একদম জঙ্গল ঘেঁষা। ফলে, মাঝেমধ্যেই ওই স্কুলে হাতি হানা দেয়। কখনও মিড-ডে মিলের ঘর ভেঙে সামগ্রী সাবাড় করছে, কখনও ক্লাসঘর ভেঙে দিচ্ছে। বারবার স্কুল থেকে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি বিবেচনা করে জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর। ওই স্কুলে প্রি-প্রাইমারি (Pre-Primary) থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। বর্তমানে সেখানে মোট ১১৮ জন পড়ুয়া ও ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। বারবার হাতির হানায় স্কুলটির বহু টাকার ক্ষতি হয়েছে। পড়াশোনাতেও ব্যাঘাত ঘটছে। তাই, বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর থেকে পড়ুয়াদের অন্যত্র সরানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু অভিভাবকদের দোহাই দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বাচ্চাদের সেখানে যেতে দিতে চাইছে না বলে অনেকেরই অভিযোগ। বাচ্চাদের স্থানান্তর করা হলে তাঁদেরও বদলি হতে হবে। এজন্য তাঁরা পিছন থেকে অভিভাবকদের মদত দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, বন দপ্তর মিড-ডে মিল সুরক্ষিত রাখার ও দৈনিক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তাবেও নারাজ। ফলে, তারা আদৌ বাচ্চাদের কথা ভাবছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শিলিগুড়ি: গাড়ি ভাড়ায় রাশ টানতে পদক্ষেপ করল সিকিম। এবিষয়ে কমিটি গঠন, নজরদারি, অভিযোগ জানানোর সেল…
রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি, ২০ মে : ফুলবাড়ি থেকে ক্যানাল রোড ধরে যতই গজলডোবার দিকে এগোনো…
সানি সরকার, শিলিগুড়ি: রাতভর বৃষ্টি, সকাল হলেই চড়া রোদ। কখনও একধাক্কায় তাপমাত্রার পতন, কখনও আবার…
হিলি: যৌনাঙ্গে লুকিয়ে শোনা পাচারের ছক ভেস্তে দিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। সোমবার বিকেলে হিলি সীমান্ত…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের অভিনেত্রীকে সামনে দেখেও নিষ্পৃহ একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ডেলিভারি বয়।…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষিপ্ত কিছু উত্তেজনার ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিতেই মিটল পঞ্চম দফার…
This website uses cookies.