উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল পেরিয়ে এলাম বিশ্ব যকৃত (লিভার) দিবস। উদ্দেশ্য, লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি লিভারের রোগ প্রতিরোধে যত্ন নিতে উৎসাহিত করা। এবছরের থিম ‘খাবারই ওষুধ’, অর্থাৎ লিভার ভালো রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধে পুষ্টির ভূমিকা অনস্বীকার্য। মনে রাখবেন, আপনার প্রেসক্রিপশনে কী আছে তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার প্লেটে কী আছে। লিখেছেন শিলিগুড়ির নেওটিয়া গেটওয়েল মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ নাদিম পারভেজ
লিভারকে বলা হয় পাওয়ারহাউস, কারণ এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, পুষ্টি প্রক্রিয়াকরণে এবং বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণ করে। তবুও লিভারের রোগ যেমন ফ্যাটি লিভার, ভাইরাল হেপাটাইটিস, সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসার ক্রমে বাড়ছে। আর এসবের জন্য অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন দায়ী।
বাস্তবে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) অতি পরিচিত সমস্যা এবং বিশ্বজুড়ে লিভার সিরোসিসের অন্যতম বড় কারণ, বিশেষ করে ভারতে। যেভাবে ব্যাপক হারে ওবিসিটি, ডায়াবিটিস বাড়ছে, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে মানুষজন অভ্যস্ত হচ্ছেন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, তােত ফ্যাটি লিভার যেন একটা ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। মোদ্দা কথা, এটি লাইফস্টাইল ডিজিজ, তাই প্রতিরোধযোগ্যও।
যা খাবেন
- ফল, সবজি, শুঁটি জাতীয় খাবার, গোটা শস্য এবং প্রোটিন
- স্বাস্থ্যকর চর্বি পেতে পাতে বাদাম, বীজ, জলপাই তেল ও মাছ খান
যা খাবেন না
- চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন
- মদ্যপান ও চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর ওজন- সুস্থ লিভারের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে এবং ফ্যাটি লিভার ডিজিজ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। স্বাস্থ্যকর খাবার শুধু শরীরকে পুষ্ট করে না, সক্রিয়ভাবে লিভারকেও রক্ষা করে। ‘খাবারই ওষুধ’– এটা শুধু থিম নয়, এটা একটা জীবনধারা। কম মাত্রা দিয়ে শুরু করুন, বুঝেশুনে খান এবং প্রতিটা কামড়ে আপনার লিভারকে সম্মান করুন।