রাজু সাহা, শামুকতলা: এক ঝলক দেখে মনে হবে, এটা হয়তো ডুয়ার্স (Dooars) অথবা অসমের কোনও রাস্তা। কিন্তু শনিবার দিল্লির রাজপথই যেন হয়ে উঠল এক টুকরো উত্তরবঙ্গ।
কেন? শুক্রবার থেকেই বোড়োল্যান্ড উৎসব (Bodoland Mahotsav) শুরু হয়েছে দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী এই উৎসবের সূচনা করেন। এদিন ছিল সেই উৎসবের দ্বিতীয় দিন। বোড়ো সাহিত্যসভার ৭৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির রাজপথে শোভাযাত্রা বের করা হয়। তাতে সারিবদ্ধভাবে হেঁটেছেন বোড়ো, রাভা, নেপালি, সাঁওতাল, আদিবাসী, গারো, রাজবংশী, অসমিয়া সহ বিভিন্ন জনজাতির প্রতিনিধিরা। তাঁরা শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরেই। সঙ্গে ছিল বাদ্যযন্ত্র। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তাঁরা গান গেয়েছেন নিজের ভাষায়। সেই গান এবং বাজনার তালে নেচেছেন। সেই দৃশ্য দেখে মন ভয়ে গিয়েছে রাজধানীর দর্শকদের।
এদিন সকাল সওয়া ৯টায় বোড়ো সাহিত্যসভার পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন বোড়ো সাহিত্যসভার সভাপতি ডঃ সুরথ নার্জারি। অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জনজাতির অন্তত ৬০০০ প্রতিনিধি শনিবার সকাল ঠিক ১১টায় এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এসএআই ইন্দিরা গান্ধি স্টেডিয়ামের ৭ ও ৮ নম্বর গেট থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। দিল্লির সার্ভিস রোড দিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে দিল্লি সচিবালয়ের চারপাশে ঘুরে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসে। এই শোভাযাত্রায় ছিলেন বিটিআর চিফ প্রমোদ বোড়ো, কোকরাঝাড়ের সাংসদ জয়ন্ত বসুমাতারি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অসম সহ বিভিন্ন রাজ্যের সংগীত এবং নৃত্যশিল্পীরা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। বোড়ো সাহিত্যসভার পক্ষে স্মরণজিৎ নার্জিনারি বলেন, ‘দিল্লির বুকে বোড়ো সাহিত্যসভার এমন অনুষ্ঠানে শামিল হতে পেরে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত।’