দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: রেশমকীটের রোগ দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি ‘র্যাপিড ডিটেকশন কিট’ তৈরি করছিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের(Raiganj University) সেরিকালচার বিভাগের একদল গবেষক। সেরিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. অমিতকুমার মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে চলছিল ওই গবেষণা। গবেষণা চলাকালীন রেশমকীটের(Silkworms) হিমোলিম্ফ থেকে দুটি নতুন একাধিক ড্রাগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন (মালটিপল ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট) ব্যাকটিরিয়ার স্ট্রেন শনাক্ত করেছেন তাঁরা। স্ট্রেন দুটি সিউডোমোনাস ও স্ট্রেনোট্রফোমোনাস জেনাসের অন্তর্ভুক্ত।
ঠিক কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটিরিয়ার এই স্ট্রেন দুটি? বলা যায়, দিনের পর দিন রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার ফলে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়ার উপর সেই ওষুধগুলির প্রভাব কমতে শুরু করে। ঠিক সেই মুহূর্তে যদি এমন কিছু ব্যাকটিরিয়া রেশমি জামাকাপড়ের মাধ্যমে আমাদের দেহে ছড়াতে আরম্ভ করে তবে আরেক মহামারী ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
মালদা সহ গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এবং মুর্শিদাবাদে বহু মানুষ সরাসরি রেশমচাষে যুক্ত। এই ধরনের ব্যাকটিরিয়ায় তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রেশম চাষে ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন সংস্থা অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলেই ব্যাকটিরিয়াগুলি এমন প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে বলে অনুমান গবেষকদের। এই গবেষণাটি সম্প্রতি খ্যাতনামা পত্রিকা ‘ডাটা ইন ব্রিফ’-এ প্রকাশিত হয়েছে। এটি এলসভিয়ার তরফে প্রকাশিত হয়ে থাকে।
অমিতবাবু বলেন, ‘আমাদের গবেষণার বিষয়বস্ত ছিল রেশমকীটের রোগ দ্রুত শনাক্ত করার জন্য কীট তৈরি করা। আমরা প্রথমে রেশমকীটের হিমোলিম্ফে ঠিক কোন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া বাসা বেঁধে রয়েছে, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করি। সেই গবেষণায় আমরা দুটি এমডিআর স্ট্রেন খুঁজে পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্ভবত রেশমকীট পালনের সময় অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের ফলেই এই ধরনের ব্যাকটিরিয়ার প্রার্দুভাব দেখা যাচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে আগামীতে বিপদ আসতে বাধ্য।’
রেশমকীটের জিনগত গঠনের সঙ্গে মানব শরীরের জিনগত কাঠামোর সামঞ্জস্য রয়েছে। ফলে এই ধরনের ব্যাকটিরিয়ার কাছে রেশমকীট থেকে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটানোর একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই অমিতবাবুর মতে, এই ধরনের গবেষণা মানবস্বার্থে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দলের আরেক গবেষক ঋত্বিক মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের শনাক্ত করা দুটি স্ট্রেন ১৫টির বেশি অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। বর্তমানে স্ট্রেন দুটি পুনের আগারকার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সংরক্ষিত রয়েছে।’
এই বিপদের প্রতিকার কী? অমিতবাবুর মতে, বিভিন্ন ন্যানো পার্টিকালস ব্যবহার করে রেশমকীটগুলিকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করা যাবে। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারও কমানো যাবে। এনিয়ে গবেষণা চলছে।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে গিয়ে দেখা করলেন রাজ্যের…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৪ জুন নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত ভোট…
বালুরঘাট: বর্ষার শুরুতে কিছুটা হলেও বেড়েছে আত্রেয়ী নদীর জল। কিন্তু সেই জলের রং কুচকুচে কালো।…
দুর্গাপরঃ লোকসভা নির্বাচন মিটতে না মিটতেই এক সময়ের লালদুর্গ বলে পরিচিত ইস্পাত নগর দুর্গাপুরে সিপিএমে…
রায়গঞ্জঃ বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও এক প্রান্তিক কৃষকের জমি দখল করে কংক্রিটের দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: টি২০ বিশ্বকাপে বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাচ্ছে একের পর এক ম্যাচ। মঙ্গলবার…
This website uses cookies.