শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি পুরনিগমের ওপর আস্থা হারিয়ে এবার অবৈধ নির্মাণের (Illegal construction) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে শহরবাসী। পুরনিগমে একের পর এক অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় শেষে আদালতে যাচ্ছেন তাঁরা। সোমবারও শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মনপরি বস্তি সংলগ্ন এলাকায় আদালতের নির্দেশে একটি অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে যায় শিলিগুড়ি পুরনিগম। সেখানে খাস জমির ওপর প্ল্যান ছাড়া দ্বিতল বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিবেশীরা একাধিকবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে লিখিত অভিযোগ করার পরেও পুরনিগম কার্যত চোখ বুজে ছিল।
শেষে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় অভিযোগকারী। দু’দিনের মধ্যে পুরো নির্মাণ গুড়িয়ে দিয়ে আদালতে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এরপরেই এদিন পুরনিগমের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হয়। গত সপ্তাহেও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে খাস জমির ওপর প্রাসাদ সমান বাড়ি আদালতের নির্দেশেই ভাঙতে গিয়েছিল পুরনিগম। সূত্রের খবর, আগামী ১০ দিনে এই ধরনের বেশ কিছু নির্মাণ রয়েছে যেগুলি আদালতের নির্দেশে ভাঙতে চলেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। তবে কী পুরনিগমের ওপর আস্থা হারিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও গাফিলতির কোনও জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘এর আগে কখনও এত দ্রুত পদক্ষেপ হয়েছে? কেউ দেখাতে পারবে। আমরা অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করছি।’ যদিও পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জৈনের বক্তব্য, ‘মানুষ পুরনিগমের ওপর আস্থা হারাচ্ছে তাই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। এত অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে, এর পেছনে কাদের মদত রয়েছে বুঝতেই পারছেন শহরবাসী।’