উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা ভালো যাচ্ছে না চিনের। একে ভারত-পাক লড়াইয়ের আবহে মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের অস্ত্র। সমাজমাধ্যম সহ অন্যত্র কটাক্ষের মুখে ড্রাগন সরকার। এবার সরাসরি চিনা খদ্দেরদের (Restaurant bans Chinese customers) ‘অভদ্র’ বলে দাগিয়ে দিয়ে ঢুকতে বারণ করে দিল জাপানের (Japan) ওসাকার একটি গ্রিল রেস্তোরাঁ। ওই রেস্তোরাঁর দরজায় চিনা ভাষায় লাগানো একটি নোটিশে বলা হয়েছে, যে চিনারা ‘অভদ্র’ এবং তাদের স্বাগত জানানো হবে না। যদিও রেস্তোরাঁটির এই সিদ্ধান্ত বিতর্কের ঝড় তুলেছে নেট মাধ্যমে। তবে এটিই প্রথম নয়, জাপানি ব্যবসাদারদের চিনা গ্রাহকদের প্রতি অনাগ্রহের আরও উদাহরণ আছে।
এক চিনা রিজার্ভেশন এজেন্ট তো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, অনেক চিনা পর্যটক কিছু না জানিয়েই বুকিং বাতিল করে দেন। ওই রিজার্ভেশন এজেন্টের মতো এই ঘটনার জেরে কিছু জাপানি রেস্তোরাঁ যে চিনা পর্যটকদের এড়িয়ে চলবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। চিনাদের প্রতি এহেন আচরণ সমাজমাধ্যমে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। আবার অনলাইনে অনেকেই রেস্তোরাঁটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, ‘যাঁরা নিয়ম মানেন না, তাঁদের বিশ্বের কোথাও স্বাগত জানানো হবে না।’ ২০২৩ সালে এমন অভিজ্ঞতা হয় এক চিনা প্রভাবশালীর। তিনি দেখেন টোকিওর এক রেস্তোরাঁ ‘চিনা ভাইরাস’ বলে একটি নোটিশ দিয়ে চিনা নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়ায় তাঁকেও রেস্তোরাঁ থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে, টোকিওর একটি ইতালীয় রেস্তোরাঁ চিনা এবং কোরিয়ান গ্রাহকদের নিষিদ্ধ করার জন্য একটি সাইনবোর্ড পোস্ট করে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল। মালিক অনলাইনে সাইনবোর্ডটির একটি ছবি শেয়ার করে বলেছিলেন যে তারা ‘নেতিবাচক চিন্তাভাবনা’ এড়াতে চান।
এবারের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চিনা সংবাদপত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট কিছু নাগরিকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে। একজন চিনা ক্রেতা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, ‘দেশপ্রেমের ছদ্মবেশে গ্রাহকদের আকর্ষণ করা সস্তা।’ আরও একজনের মত, ‘যে রেস্তোরাঁ এই ধরনের নোট পোস্ট করে, তাঁদের আচরণ অভদ্র গ্রাহকদের চেয়েও খারাপ,’ কেউ বলেছেন, চিনা (Chinese) গ্রাহকদের তাঁদের সঙ্গে যাঁরা খারাপ আচরণ করেছে তাঁদের কাছে অভিযোগ করা উচিত। তবে জাপানিদের অনেকে এটিকে সরাসরি ‘বর্ণবাদি’ পদক্ষেপ বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে এই ঘটনা অতীতে আমেরিকাতে জাপানিদের বিরুদ্ধে হওয়া বৈষম্যের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। অ জাপানিদের অনেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ওই রেস্তোরাঁকেই বয়কট করার বার্তা দিয়েছেন। তবে সরাসরি মালিককে সমর্থন করেছেন কেউ কেউ। তাঁরাও নিজের মতো করে কোরিয়ান পর্যটকদের দ্বারা হয়রানির অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।