উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতে পেশের সময় আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) ধৃত একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় যাতে মুখ খুলতে না পারেন তাঁর জন্য আগেই কালো কাঁচে ঢাকা এসি গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। এবার আদালতে সঞ্জয়কে সশরীরে আনাই বন্ধ করে দিতে চলেছে তারা। সোমবার থেকে ভার্চুয়ালি জেল থেকেই শুনানিতে অংশ নেবে সঞ্জয় রায়। আর সেই শুনানি হবে রুদ্ধদ্বার কক্ষে।
২ সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি। রোজই হাজির করা হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। প্রথম কয়েকদিন তাঁকে প্রিজন ভ্যানে জেল থেকে শিয়ালদা আদালতে আনা হচ্ছিল। আর আদালত থেকে ফেরার সময় মুখ খুলে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়াচ্ছিলেন তিনি। প্রথমে সঞ্জয় পরিষ্কার জানান, তাকে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছিল। তবে তিনি নির্দোষ। তিনি কাউকে ধর্ষণ-খুন করেননি। এরপর দিনই তিনি দাবি করেন, কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার (Police Comissioner) বিনীত গোয়েল (Bineet Goyel) তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছেন। এর পর অভিযুক্তকে আদালতে আনার জন্য কালো কাচে ঘেরা গাড়ির ব্যবস্থা করে কলকাতা পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে আদালতে ঢোকা পর্যন্ত কয়েক মিটার পথেও সে যাতে মুখ খুলতে না পারে সেজন্য কখনও গাড়ির ছাদ পিটিয়ে, কখনও একসঙ্গে সমস্ত গাড়ির হর্ন বাজিয়ে শব্দ তৈরি করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও সমালোচনা এড়ানো যাচ্ছিল না। তাই অভিযুক্তের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। শিয়ালদা আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। জেলের একটি বন্ধ ঘরে ক্যামেরার সামনে একা বসে থাকবেন তিনি। সামনে টিভিতে দেখতে পাবেন শুনানির ঘটনাক্রম। আদালতেও একটি টিভিতে অভিযুক্তের ছবি ও কণ্ঠ শোনা যাবে। শুধুমাত্র কোনও সাক্ষীর দ্বারা শনাক্তকরণের দিন সঞ্জয় রায়কে হাজির করা হবে আদালতে। এই সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠেছে, সঞ্জয়ের মুখ খোলা নিয়ে অস্বস্তি এড়াতেই কি এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য?