উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন পদে যোগ দিতে গিয়ে পড়ুয়াদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরতে হল আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরিকে। আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল পড়ুয়ারা। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে অরুণাভ দত্ত চৌধুরি কাজে যোগ দিতে গেলে পড়ুয়াদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অধ্যক্ষের ঘরে ঢোকার পরই তাঁকে ঘরবন্দি করেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার পরই জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনেই অপসারণ করা হয়েছিল অরুণাভ দত্ত চৌধুরিকে। এরপর মালদা মেডিকেল কলেজে তাঁকে বহাল করা হয়। এদিন চুপিসারে তিনি কাজে যোগ দিতে আসেন। কিন্তু তাঁকে হাসপাতাল চত্বরে দেখতেই ক্ষোভ ফেটে পড়েন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি হাতের নাগালে যেতেই, আসরে নামেন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এরপর দীর্ঘক্ষণ অধ্যক্ষের ঘরেই ঘেরাও হয়ে থাকেন অরুণাভ দত্ত চৌধুরি। দাবিতে অনড় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন ছাত্ররাও। বিকেলের দিকে অবশ্য কাজে যোগ না দিয়েই ফিরতে হল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল চেস্ট ও মেডিসিন বিভাগের এক পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃতদেহ। তাঁর মৃত্যুর পর সঞ্জয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও, সন্দেহের তির শুরু থেকেই ছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং চেস্ট ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীর দিকে। যা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে আরজি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে, মালদা মেডিকেলে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। এদিন সেখানেও ক্ষোভের মুখে পড়ে কাজে যোগ না দিয়েই ফিরতে হল অরুণাভ দত্ত চৌধুরিকে।