রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পাঁচ মাস পরও বিচার অধরা। তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সিবিআইয়ের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তুলে এবং ওই ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিকে সামনে রেখে সোমবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) গণকনভেনশনের (Mass Convention) ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদী চিকিৎসকদের নেতৃত্বে থাকা ডাঃ অনিকেত মাহাতো, ডাঃ আসফাকুল্লা নাইয়া সহ ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট ডক্টরস ফোরামের অন্য নেতৃত্ব কনভেনশনে বক্তব্য রাখবেন।
গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরদিন থেকে কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। ধাপে ধাপে আন্দোলন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমজনতাও এই আন্দোলনে শামিল হন। তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, এখনও মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ১৩ জানুয়ারি সোমবার সিটিজেন ফর জাস্টিস, নাইট ইজ আওয়ার্স, হোক প্রতিবাদ মঞ্চ সহ বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে শিলিগুড়ির বাঘা যতীন পার্কে গণকনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘা যতীন পার্কে এই কনভেনশন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের সভাপতি ডাঃ শাহরিয়ার আলম, কোয়েল রায় সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। শাহরিয়ার বলেন, ‘কেন্দ্রের সিবিআই এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে আঁতাত রয়েছে। শুধু সঞ্জয় রাইকেই দোষী দেখিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু তদন্তে বারবার উঠে এসেছে যে এই হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে। সেই সূত্রেই আরজি করের অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়া সহ পুলিশ ও প্রশাসনে প্রচুর রদবদল করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সঞ্জয়কেই দোষী দেখিয়ে বাকিদের আড়ালের চেষ্টা চলছে। সিবিআই এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সামনে আনুক।’
শাহরিয়ারের বক্তব্য, ‘আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়ারদের পাশাপাশি প্রচুর সিনিয়ার ডাক্তারও শামিল হয়েছিলেন। এখন রাজ্য সরকার সেই সমস্ত চিকিৎসককে সায়েস্তা করতে নিত্যনতুন নির্দেশিকা দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, কর্মস্থল থেকে ২০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা যাবে না। এসব নির্দেশ দিয়ে চিকিৎসকদের বেঁধে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না।’