উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হল জুনিয়ার ডাক্তারদের। সোমবার ৬টা ৪০ মিনিটে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয়েছিল বৈঠক। প্রায় দু’ঘণ্টা পর বৈঠক শেষ হল। পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে তিন-তিনবার এই বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল। গত শনিবারের মতো এদিনও মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। বাড়িতে যে ঘরে বসে কাজ করেন মুখ্যমন্ত্রীর, সেখানেই জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চিকিৎসকদের সঙ্গে দুই পেশাদার স্টেনোগ্রাফারকে প্রবেশেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গেই এসেছিলেন তাঁরা। সূত্রের দাবি, জুনিয়ার ডাক্তারদের মুখ্য দুই দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। এদিকে, কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররাও। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি ঘোষণা হয়নি।
আরজি করের ঘটনার তদন্তের বিষয়টি আর রাজ্যের এক্তিয়ারে নেই। হাইকোর্টের নির্দেশে পুরোটাই সিবিআইয়ের হাতে চলে গিয়েছে। আবার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে অঙ্গীকার করেছে মমতা সরকার। হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ কায়েম করার ব্যাপারেও সরকার জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে প্রথম থেকে সহমত ছিলেন মমতা। ফলে জুনিয়ার ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আগেই তিন দফার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল। মূল ছিল দুটি দাবি। তা হল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানোর প্রস্তাব। এবং স্বাস্থ্য সচিব, ডিরেক্টর হেল্থ সার্ভিসেস ও ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন পদে এখন যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সরানো। বর্তমানে স্বাস্থ্যসচিব হলেন নারায়ণ স্বরূপ নিগম। ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন হলেন ডাঃ কৌস্তভ নায়েক এবং আর ডিরেক্টর হেল্থ সার্ভিসেস পদে রয়েছেন ডাঃ অজয় চক্রবর্তী। এই দুই দাবি নিয়ে সরকার কী অবস্থান নিল, সেদিকেই তাকিয়ে বিভিন্ন মহল।