অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ কত কাছে, তবু কত দূরে! তিনি কলকাতায়। টিম ইন্ডিয়াও কলকাতায়। তবু সূর্যকুমার যাদবদের সঙ্গে দেখা হল না ঋষভ পন্থের।
দুপুরের ইডেন গার্ডেন্সে টিম ইন্ডিয়া যখন অনুশীলনে ডুবে, সেই সময় ক্রিকেটের নন্দনকানন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বসে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ঋষভ। লখনউ সুপার জায়েন্টসের নতুন অধিনায়ক হলেন। দলের নয়া জার্সির উদ্বোধন করলেন। দলের মেন্টর জাহির খানকে পাশে বসিয়ে ঋষভ জানিয়ে দিলেন, অতীতে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে যেভাবে আইপিএলের মঞ্চে নিজের সেরাটা দিয়ে গিয়েছেন। লখনউয়ের জার্সিতেও একই কাজ করে যাবেন তিনি। ঋষভের কথায়, ‘আইপিএলের মঞ্চে আমার দল বদলে যেতে পারে, কিন্তু অতীতের মতো একই ইনটেন্ট নিয়ে মাঠে নামব আমি। লক্ষ্য থাকবে সেরাটা দিয়ে দলকে সফল করা।’
শেষ মরশুমে লখনউ অধিনায়ক ছিলেন লোকেশ রাহুল। মাঠে তাঁর সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার তর্কাতর্কির দৃশ্য আজও ভোলেনি ক্রিকেট সমাজ। ঋষভের সঙ্গে লখনউ কর্ণধারের সম্পর্কের সমীকরণ আগামীদিনে কোন পথে যাবে, সময় বলবে। আপাতত লখনউ কর্ণধার ২৭ কোটির ঋষভকে নিয়ে তৃপ্ত। তাঁর হাতে আজ দলের নেতৃত্বের দায়ভারও তুলে দিলেন। নেতা ঋষভের আগামীর পরিকল্পনা কী? অধিনায়ক হিসেবে তিনি কাকে অনুসরণ করেন? সাংবাদিক সম্মেলনে এমন প্রশ্ন আসতেই ব্যাট চালালেন টিম ইন্ডিয়ার ওয়ান্ডার কিড। বলে দিলেন, ‘আমি অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছি। অনেক সিনিয়ার ক্রিকেটারের সঙ্গেও সাজঘর শেয়ার করেছি। তাই নির্দিষ্টভাবে কোনও একজনের নাম করা কঠিন। তবে আলাদাভাবে রোহিতভাইয়ের কথা বলব আমি। ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
হিটম্যানের থেকে কী শিখেছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ঋষভ। লখনউয়ের নয়া অধিনায়কের কথায়, ‘রোহিতভাইয়ের থেকে শেখা কীভাবে দলের সতীর্থদের যত্ন নিতে হয়। সবসময় ক্রিকেটারদের পাশে থাকাটাও রোহিতভাইয়ের থেকে শেখা। আমি অধিনায়ক রোহিতকে অনুসরণ করি। আর মাঠে থাকার সময় সতীর্থদের ভরসা দিই।’ ঋষভ মানেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট। তাঁর প্রতিটা কথাতেও সেই আত্মবিশ্বাস। ঋষভ বলছেন, ‘অধিনায়ক বা ক্রিকেটার, দলে আমার ভূমিকা যাই হোক না কেন, মরার আগে মরতে পছন্দ করি না আমি। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করার মন্ত্রে বিশ্বাস করি আমি। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, দলের জন্য মাঠে বাড়তি ২০-৩০ শতাংশ দিতে সবসময় তৈরি থাকি আমি। বলতে পারেন, এটাই আমার ক্রিকেটীয় দর্শন।’