পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: এই শহরে তিনি কোনওদিন আসেননি। তাঁর ছবিতে আত্রেয়ী নেই রয়েছে সুবর্ণরেখা, তিতাস। কিন্তু এই মুহূর্তে বালুরঘাটের কলেজ মোড় থেকে শুরু করে দীপালি মোড় কিংবা জলযোগে গেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখতে হবে চলচিত্র কিংবদন্তী ঋত্বিক ঘটকের উপস্থিতি। সশরীরে তিনি এই শহরে কখনো না আসলেও প্রতিটি মোড়ের নাম তাঁর বানানো সিনেমার নামে করে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর ফিল্ম অ্যান্ড ফোটোগ্রাফি ক্লাব।
বিষয়টি তাহলে কী? আগামী ২৫ থেকে ২৯ ডিসেম্বর বালুরঘাটে আয়োজিত হতে চলেছে ইমাজিনিয়া-বালুরঘাট আন্তর্জাতিক ফোটোগ্রাফি উৎসব। এই কয়েকদিন বালুরঘাটে প্রতিটি মোড়ের নাম ঋত্বিকের নির্দেশিত সিনেমার নামে রাখা হয়েছে।
যার মূল বিষয় ‘ঋত্বিক ঘটক’। এই উৎসবের বয়স এবারে ৮ বছর হল। সুরেশরঞ্জন পার্কে চলবে এই প্রতিযোগিতা। শুক্রবার সকাল থেকেই উদ্যোক্তারা যার জন্য শহরজুড়ে ঘোষণা করেন সেই অমোঘ ঋত্বিক ভাষ্য ‘ভাবো ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো।’
শহরে হাঁটতে বেরোলে পথচারীরা দিকভ্রান্ত হতে পারেন। কারণ যাকে কাল অবধি কলেজ মোড় নামে ডাকা হত সে আজ ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’। দীপালিনগর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ‘সুবর্ণরেখা’। আর জলযোগ মোড়ে গেলে দেখা মিলবে ‘মেঘে ঢাকা তারা’-র। এই ভাবেই এই বিষয়ের প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।
কাকতালীয়ভাবে ছবি উৎসবের উদ্যোক্তাও একজন ঋত্বিক, ঋত্বিক সাহা। তাঁর বক্তব্য, ‘এক অস্থির সময়ের মধ্যে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। তবে এমতাবস্থাতেও বলা যায় ঋত্বিক ‘একাই একশো।’ আমরা এই শহরের নাম দিয়েছি ‘কোমল গান্ধার’। ঋত্বিকের মতো করেই দেখার চেষ্টা করছি শহরের অলিগলি।’