মাটিগাড়া: এ যেন গল্পের বই থেকে বেরিয়ে এলো ‘বিধুশেখর’। মাত্র দু’দিনে ভাঙা টিফিনবক্স এবং স্যানিটাইজারের বোতল দিয়ে রোবট তৈরি করে ফেললেন বাগডোগড়ার ছেলে দেবাশিস দত্ত। সত্যজিৎ রায়ের কাল্পনিক চরিত্র প্রফেসর শঙ্কুর রোবট আজ বাস্তব রূপ পেল। শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দেবাশিস পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বাগডোগরা বিজ্ঞানসভার আহ্বায়ক। এর আগেও তিনি নিজের হাতে একাধিক মডেল বানিয়েছেন। বিধুশেখর তাঁর প্রতিভার সাম্প্রতিক নিদর্শন।
প্রোফেসর শঙ্কুর কাহিনীর মতোই দেবাশিসের এই বিধুশেখরও একটি রোবট যা ডিজাইন করেছে বাগডোগড়ার ক্ষুদিরামপল্লির বাসিন্দা এই যুবক। সম্পূর্ণ ব্লুটুথ পরিচালিত এই রোবট যা ঘরের বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি অতিথিদের পরিচালনায় সাহায্য করতে পারে। জল ও খাওয়ার সংগ্রহ, অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ এবং দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করে রোবটটি। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও দেবাশিস জলের অপচয় বন্ধ করতে যন্ত্র, এলাকায় চুরি রুখতে স্মার্ট অ্যালার্ম, করোনার সময় বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য বিশেষ ধরনের স্যানিটাইজার যন্ত্রও বানিয়েছিলেন তিনি।
দেবাশিস ছোটবেলাতেই মা পাপিয়া দেবীকে হারিয়েছেন। বাবা শিবেন্দ্রনাথ দত্ত মিষ্টি ব্যবসায়ী। ছোট থেকেই তার বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক ছিল। তাই বাগডোগরা চিত্তরঞ্জন স্কুলের মাধ্যমিকের পর শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে সে ভর্তি হয়। এরপরই একের পর এক দেবাশিসের আবিষ্কার নজর কেড়েছে শহরবাসীর।