নয়াদিল্লি: গ্রিনপার্কে দুরন্ত জয়। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ঝাঁঝালো বোলিং। রবিচন্দ্রন অশ্বীন-রবীন্দ্র জাদেজার পাশে যোগ্য সংগত জসপ্রীত বুমরাহর নেতৃত্বাধীন পেস ব্রিগেড। এতকিছুর পরও রবি শাস্ত্রীর মুখে মহম্মদ সামির কথা।
মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা থাকলেও প্রাক্তন হেডকোচ দ্রুত সামির প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায়। সামির প্রশংসা করে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘বলের সিমকে সামি যেভাবে ব্যবহার করে, তা বিশ্ব ক্রিকেটে খুব কম বোলারই পারে। আশাবাদী দ্রুত ফিট হয়ে সেই দায়িত্ব সামলাবে ও।’
ওডিআই বিশ্বকাপে সাদা বলে কেরামতি দেখিয়েছেন সামি। শাস্ত্রীর কথায়, ‘নতুন বলে সুইং হোক বা পুরোনো বলে রিভার্স, সামির দক্ষতা প্রশ্নাতীত। বিশেষত, গ্রিনপার্কের মতো পিচে একেবারে পারফেক্ট। এই ধরনের পরিবেশকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, জানে সামি। যথার্থ অর্থেই উইকেট শিকারী।’
সঞ্জয় মঞ্জরেকারের মুখে আবার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, বাকিদের জন্য উদাহরণ রাখা-সবমিলিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নেতৃত্বের নয়া পরম্পরা রোহিত রেখে যাচ্ছেন বলে মনে করেন। কানপুরে যেভাবে ভারত খেলেছে, কম দলই তা পারে। নিজেদের সেরা সময়ে যা করে দেখাত অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন রোহিতের ভারত করে দেখাচ্ছে।
টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের পিছনে ভিভিএস লক্ষ্মণ আবার দলের ‘সাপ্লাই লাইন’-কে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বরে এনসিএর দায়িত্ব নিই। এখনও পর্যন্ত দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক তারকাকে সামলানো, পাশাপাশি দলের রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করার দায়িত্ব। তিন ফরম্যাটে সাফল্যের যা আবশ্যিক শর্ত। যে কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে পেরে আমি তৃপ্ত। শুধু পুরুষ দল নয়, আগামী দশ বছরে মহিলা ক্রিকেটও গর্বিত করবে দেশকে।’