আসানসোল: রাজ্য জুড়ে বেআইনি জবরদখল নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্নে আরও এক দফায় বৈঠক করেন। নবান্নের সেই বৈঠকেই উঠে আসে আসানসোলে পুকুর ভরাট করে আরএসএস (Rss) বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কার্যালয় তৈরির প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তা জানান। তার ঠিক ঘন্টা খানেকের মধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় আসানসোলের প্রশাসনিক মহলে। এদিন দুপুরে আসানসোল উত্তর থানার ধাদকার জে সি বোস লেনে আরএসএস কার্যালয় সুদর্শন নিবাসে পৌঁছে যান আসানসোল পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার, পুর আধিকারিক, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের(BLLRO) আধিকারিক ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চ আধিকারিকরা। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে তারা সেখানে লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।স্বাভাবিক ভাবেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে চলে আসেন আরএসএস সহ একাধিক হিন্দু সংগঠনের উপদেষ্টা এবং বিজেপির লিগাল সেলের অন্যতম প্রবীণ আইনজীবী পীযূষকান্তি গোস্বামী। আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর ভৃগু ঠাকুর সহ অন্যান্যরাও সেখানে পৌঁছান।
পরে পীযূষবাবু বলেন, ‘পুর ইঞ্জিনিয়ার সহ যে আধিকারিকরা এসেছিলেন, তাঁরা আমাদের কাছে বাড়ির দলিল, ট্যাক্স ও অন্যান্য কাগজ দেখতে চান। যদিও কোনও নোটিশ আধিকারিকদের পক্ষ থেকে আমাদের দেওয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অফিস সংক্রান্ত কোনও কিছুই এখানে থাকে না। সব আরএসএসের সদর দপ্তর কেশব ভবনে থাকে। আমি তাঁদেরকে বলেছি, আপনারা আমাদের চিঠি দিয়ে যা যা চাইবেন আমরা সেগুলো অবশ্যই আপনাদের হাতে তুলে দেব।’ পীযূষবাবু জানান, তিন-চার কাঠা জমিতে পুকুর হয় না। তাহলে এখানে কি পাশাপাশি সব বাড়ি সহ গোটা এলাকাটাই পুকুর ছিল? গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক যড়যন্ত্র বলে দাবি করেন প্রবীণ এই আইনজীবী। এদিকে, আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথা আরএসএসের প্রচারক দিলীপ দে বলেন, ‘এই ভবন দেড় দশকের বেশি সময় আগে তৈরি হয়েছে।’ এদিকে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এক আধিকারিক সুব্রত দেবনাথ বলেন, ‘বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন বলে আমরা এসেছি, এমনটা নয়। অভিযোগ আগেই আমরা পেয়েছিলাম। তাই তা দেখতে এসেছি। সবকিছু দেখে গেলাম।’ আসানসোল পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার নয়ন নস্কর বলেন, ‘আমি পুরনিগমের পক্ষ থেকে সরকারি টিমের সঙ্গে গিয়ে দেখেছি। আমরা লিখিতভাবে তাদের কাছ থেকে পুরনিগমের পাশ করা নকশা বা প্ল্যান থেকে শুরু করে জমির যাবতীয় কাগজ, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সহ সমস্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠিয়েছি।’
উল্লেখ্য, এদিনের নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘ আসানসোলে আরএসএস পুকুর ভরাট করে নাকি একটি বড় অফিস তৈরি করেছে। বড় ভবন যদি কাগজে কলমে পুকুর ভরাট করে হয়ে থাকে তাহলে কেন এটা ভাঙ্গা হয়নি? এটা মলয়(মন্ত্রী মলয় ঘটক) আমাকে বলেছে। পুলিশ প্রশাসনকেও নাকি বলা হয়েছিলো।’ প্রসঙ্গত, আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় জলা জমি ভরাট করা হচ্ছে দিনের বেলাতেই। সরকারি জমি দখল করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় হয়েছে বেআইনি নির্মাণ। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কতটা তৎপর হয় প্রশাসন।
শুভঙ্কর চক্রবর্তী ‘ফাঁকা জমি দেখতে যদি পাও দেরি না করে খুঁটি পুঁতে দাও। দৌড়ে যাও…
নাগরাকাটা: জীবনে লড়াই করার তাগিদ ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন সাফল্য আসবেই। কথাটা আরও একবার প্রমাণ…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। ২০০৭ সালের পর ফের ২০২৪ সালে…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি। আগামী চার দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে গোটা বঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা (Weather Update)। শুক্রবার থেকেই সক্রিয়…
This website uses cookies.