মালবাজার: বিয়ের দু’বছর পেরিয়ে গেলেও রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতে পাননি এক মহিলা। ওদলাবাড়ির বাসিন্দা ওই মহিলার নাম ২০২২ সালে তিনি রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, টাকার প্রক্রিয়াকরণে কিছুটা সময় লাগে। তাই প্রায় তিন মাস পর অফিসে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে জানানো হয়, তাদের আবেদন নাকি জমা পড়েনি এবং নতুন করে আবেদন করতে হবে। এরপর নিরুপায় হয়ে তিনি ফের নতুন আবেদনপত্র জমা দেন। কিন্তু তাতেও কোনো ফল মেলেনি। তার অভিযোগ, ২০২২ থেকে ২০২৪ অবধি বারংবার আবেদন করেছেন, কিন্তু টাকা ঢোকেনি।
অবশেষে শুক্রবার তাকে বিডিও অফিস থেকে জানানো হয়, তিনি রূপশ্রীর টাকা পাবেন না, কারণ তার রূপশ্রী ফর্ম সংক্রান্ত নথি বিডিও অফিসে জমা পড়েনি। এমন খবর শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন রুম্পা। সোমবার দুপুরে সপরিবারে বিডিও অফিসে এসে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুম্পা।
রুম্পা ও তার পরিবার মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতির দ্বারস্থ হন। এ বিষয়ে মাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ বলেন, ‘মহিলা আমার কাছেও এসেছিলেন। আমি নিজেও বহুবার চেষ্টা করেছি সমস্যা সমাধানের জন্য, কিন্তু সফল হতে পারিনি। রূপশ্রী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ইতিমধ্যেই অন্যত্র বদলি হয়েছেন। তার গাফিলতির ফলেই হয়তো এই ভোগান্তি হচ্ছে’।’ বিডিও অফিসে সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অভিযোগকারি মহিলা পূর্বের আবেদনের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। তা সত্ত্বেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’