এম আনওয়ারউল হক, বৈষ্ণবনগর: গ্রামের রাস্তায় পড়ে রয়েছে মুখ বাঁধা বস্তা। বস্তা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। ৫০০ টাকার চকচকে নোট তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে ২০০ টাকার নোটও। একনজরে দেখে বোঝা মুশকিল, এগুলো সব জাল নোট। এক লাখ বা দু’লাখ নয়, একসঙ্গে ২০ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। আবার কাকতালীয়ভাবে এই গ্রামেই দুষ্কৃতী রুবেল শেখের বাড়ি। যে এখন জেল হেপাজতে রয়েছে। তাহলে জেলে বসেই এই নোটের কারবার চালাচ্ছিল সে, একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।
গোয়েন্দাদের কথায়, জেলায় এই প্রথম ২০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে। ১৯ লাখ টাকার ৫০০ টাকার নোট এবং ১ লক্ষ টাকার ২০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে। কুম্ভীরার খোসালপাড়া অপরাধমূলক কাজে পুলিশের শিরোনামে রয়েছে। এর আগে ওই এলাকারই এক সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত বাসিন্দা রুবেল শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে বর্তমানে জেলে রয়েছে। তার বাড়ির পাশ থেকেই ওই জাল নোটগুলি উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই তরুণই জাল নোট পাচারের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু জেলে বসে কীভাবে চালাচ্ছে সে এই চক্র? আর কারা কারা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে? বিপুল পরিমাণ জাল নোট কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে জড়ো করেছিল? গোটা ঘটনায় রহস্য বাড়ছে।
পুলিশের দাবি, এর আগে ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হলেও সেরকমভাবে ২০০ টাকার জাল নোট চোখে পড়েনি। কিন্তু এবারে প্রচুর সংখ্যক ২০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। তবে ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশের গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে, ২০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হওয়ায়। কালিয়াচকের পরই কি তাহলে জাল নোটের কারবারে দুষ্কৃতীদের টার্গেট বৈষ্ণবনগর? এই প্রশ্নও জোরাল হচ্ছে। স্থানীয় একাংশের দাবি, সীমান্তকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ হতে পারে। পরপর জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা সজাগ। তাঁরা ইতিমধ্যে নোট চিনতে দোকানে বসিয়েছে মেশিন।