উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য বিজেপির ব্যাটন গেল শমীক ভট্টাচার্যর (Samik Bhattacharya) হাতে। বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটি প্রদর্শনী ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য বিজেপির (BJP) নতুন সভাপতি হিসেবে বরণ করে নেওয়া হল শমীক ভট্টাচার্যকে। এদিন সংবর্ধনার মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে শমীক বলেন, ‘বাংলার মানুষ তৃণমূলের (TMC) হাত থেকে পরিত্রাণ চান। কৃষকের আত্মহত্যার জন্য দায়ী তৃণমূল। বাংলার মানুষ জানে বিজেপিই তৃণমূলকে হারাতে পারে। তৃণমূলের পতন অনিবার্য। তৃণমূলে মমতার বিকল্প কোনও মুখ নেই।’ তাঁর কথায়, ‘অনেক লাঞ্ছনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বিজেপিকে। বুদ্ধবাবু সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপিকে ডাকতেন না।’
শমীকের বক্তব্য, ‘রাজ্যে মেধা প্রতারিত। এই প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়বে বিজেপি। বাংলার মানুষ শিল্প চায়, পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে রাখতে চায়।’ তিনি জানান, ‘বিজেপির লড়াই মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়। যারা বোমা ছোড়ে, তাদের হাতে কলম ধরাতে চায় বিজেপি।’ এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপির তাবড় নেতারা।
গতকালই রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচনপর্ব সম্পন্ন হয়। শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্যকেই বেছে নেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ও দলের মুখপাত্র শমীক। বিজেপির গোষ্ঠী রাজনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা করতেই শমীককে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গোড়া থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অনুগামী শমীক বিজেপিতে বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার উপরে তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও পছন্দের নেতা বলে খবর। তাই শমীককে মেনে নিতে বিজেপির কোনও গোষ্ঠীরই কোনও অসুবিধে হয়নি। বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব শমীক খুব ভালোভাবেই সামলে দিতে পারবেন বলে মনে করছে বিজেপি।
এদিন নিজের ভাষণে শুভেন্দু অধিকারীও সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ার ডাক দিয়ে বলেন, ‘কপালের ওপরে নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরে নয়, নিজেদের কর্মের ওপরে জোর দিতে হবে। প্রতি বুথে ৩০ জন যোদ্ধা তৈরি করে তৃণমূলকে হঠাতে হবে।’