সামসী: পঠনপাঠন সহ নিরাত্তার দাবিতে অধ্যক্ষ সহ কলেজের সব অধ্যাপকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভে শামিল হলেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে সামসী কলেজে (Samsi College)। ঘটনায় এদিন শিক্ষক দিবসের (Teachers Day) অনুষ্ঠান মাঝপথে ভন্ডুল হয়ে যায়। খবর পেয়ে সামসী কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট রিয়াজুল করিম বকশি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, চল্লিশদিন আগে কলেজ চত্বরে কোনও এক ছাত্রীকে কোনও এক ছাত্র শ্লীলতাহানি করে। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী সমস্ত বিষয় অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে আবেদন করেছিলেন। অধ্যক্ষ কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই ঘটনার পর আরও কয়েকজন ছাত্রীকে কয়েকজন ছাত্র কলেজ চত্বরে উত্যক্ত করে। এই ঘটনাও অধ্যক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু এই ঘটনার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে পঠনপাঠন নিয়েও পড়ুয়াদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
এদিন কলেজে শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে চেয়েছিলেন কলেজের পড়ুয়ারা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। এসব নানা অভিযোগের প্রতিবাদে এদিন দুপুরে তাঁরা স্লোগান দিতে দিতে কলেজ অধ্যক্ষর অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। অধ্যক্ষের পদত্যাগও দাবি করা হয়। ঘটনায় পালটা অধ্যাপকরাও ধর্নায় বসেন।
ইভটিজিংয়ের বিষয় জানতে চাওয়া হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, অভিযোগকারীকে লিখিতভাবে তাঁর বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছিল। এরপরই তার অভিযোগটি অ্যান্টি র্যাগিং সেলে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। অ্যান্টি র্যাগিং সেল অভিযোগকারীর বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য তাঁকে সশরীরে হাজির হতে বলেছিল। কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত হাজির না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট রিয়াজুল করিম বকশি সাফ বলেন, খবর পেয়ে তিনি কলেজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ বন্ধ করেন। এমনকি শিক্ষক শিক্ষিকারা যে ধর্নায় বসেছিলেন সেটাও তাঁরা তুলে নেন। শুক্রবার সব পক্ষকে নিয়ে কলেজে আলোচনা করা হবে। কলেজের অধ্যক্ষ ড. সলিলকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টি কলেজের ইন্টারনাল।’ এর থেকে বেশি আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।