উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটে বামেদের সঙ্গেই আসন সমঝোতা। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই মর্মে জেলায় জেলায় দলের নেতৃত্বকে তৎপর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সাগরদিঘিতে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস দল বদল করলেও পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা অকেজো হয়ে যাবে এমন সম্ভাবনার কথা আগেই উরিয়ে দিয়েছিল বামেরা। এবার সেই একই পথে হাটল প্রদেশ কংগ্রেস।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ যায় এক কংগ্রেস কর্মীর। অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল ও বিজেপিকে রুখতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সমঝোতার মাধ্যমে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছে বাম ও কংগ্রেস। শুক্রবার বিধান ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘সর্ব স্তরের কংগ্রেস কর্মীদের কাছে আবেদন করছি, পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি মানুষকে করতে দেওয়া হয়, তা হলে কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করে নিজ নিজ এলাকায় ভোট করবে। যত দূর সম্ভব বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করে বা জোট করে আমরা নির্বাচনে লড়ব।’’ মনোনয়নের জন্য খুবই অল্প সময় দিয়ে, ভোটের নিরাপত্তা বা অনলাইন মনোনয়নের বিষয়ে কোনও আশ্বাস না দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটকে ‘প্রহসনে’ পরিণত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অধীর।
কংগ্রেসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূলকে হারাতে যেখানে যে শক্তিশালী, সেখানে তাদের সামনে রেখে লড়াইয়ের নীতিতেই আমরা চলব। কংগ্রেস, আইএসএফ, কোথাও সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই হবে। তবে স্থানীয় ভিত্তিতেই ঠিক হবে।’’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে বামফ্রন্ট এ দিনই প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার দরজা খুলে রাখার কথা বলেছে।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য জোটকে কটাক্ষ করেছেন, ‘‘শূন্যের সঙ্গে শূন্য যোগ, বিয়োগ, গুণ যা-ই হোক, ফল শূন্যই! আর রাজনৈতিক ভাবে এটা হল, সিপিএমের হাতে খুন হওয়া কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’’