রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে যে দালাল চক্র রমরমা, এই বিষয়টি কারো অজানা নেই। এর আগে ব্লাড ব্যাংকের রক্ত বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবার ব্লাড ব্যাংকে সক্রিয় দালালচক্র। এবার রোগীর আত্মীয় সেজে টাকার বিনিময়ে রক্ত দিতে এসে রায়গঞ্জ মেডিকেলে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক যুবক। নিরাপত্তারক্ষীদের জেরায় টাকার বিনিময়ে রক্ত বিক্রির ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। সেই সঙ্গে স্বীকার করে নেয় নেশার টাকা জোগাড়ের জন্যই বন্ধুরা তাকে ব্লাড ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
শনিবার বেশ কয়েকজন যুবককে ব্লাড ব্যাংকের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। তারা এক যুবককে হাতেনাতে ধরতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। আটক যুবক অজয় রায় জানায়, তার বাড়ি বোগ্রামে। আজ সকালে এক বন্ধু বলেছিল হাসপাতালে গেলে টাকা পাওয়া যাবে। রক্ত বিক্রি করে ২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা দিয়ে নেশা করব বলে এসেছি। কিন্তু সবাই পালিয়ে গেছে। এদিন মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তাকর্মীরা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীদের হাতে তুলে দিলেও কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ মেডিকেল চত্বরে।
সমাজকর্মী কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, ব্লাড ব্যাংকের সামনে দেখা যায় বেশ কিছু দালাল রোগীর পরিজন সেজে অপেক্ষায় থাকে। তেমন বিপদগ্রস্ত লোক দেখলেই তাদের নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে রক্ত দিয়ে টাকার লেনদেন সেরে ফেলে। এভাবে চুপিসারে বসে থেকে রোগী ও তাদের পরিজনেদের কাছ থেকে রক্তের বিনিময়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পুলিশ আটক যুবককে ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছে বলে জানান তিনি। ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মেডিকেল কর্তৃপক্ষের হাতে লিখিত অভিযোগ না আসলে কিছু করার নেই। অভিযোগ আসলে এখানকার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আছেন তিনি বলতে পারবেন।‘