পুরাতন মালদা: তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের(Molested) অভিযোগ উঠল এক ফুচকা বিক্রেতার বিরুদ্ধে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঘটনা ঘটলেও সামাজিক নিরাপত্তার খাতিরে নির্যাতিত ছাত্রটির পরিবারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু যৌন নির্যাতনের দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শিশুটির পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে। তার সঙ্গে আরও তিনজন ছিল। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিত ছাত্রটি মালদা(Malda) থানার সাহাপুরে বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকে। স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ২২ এপ্রিল একা পেয়ে ওই ছাত্রকে প্রলোভন দিয়ে একটি আমবাগানে নিয়ে যায় চার তরুণ। সেখানেই একটি ঘরে চারজন মিলে শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। এমনকি কিছুদিন পর শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ)। এরপরেই সবকিছু জানাজানি হয়। সমস্ত ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই ছাত্র। সামাজিক সম্মানের খাতিরে তাঁরা এতদিন চুপচাপ ছিল। গ্রামে সালিশি সভা বসিয়েও সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটেনি। এরপরেই ফুচকা বিক্রেতা সহ বাকি তিনজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ফুচকা বিক্রেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের মা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। ছাত্রের মা বলেন, ‘ছেলে যৌন লালসার শিকার হয়েছে। আমরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে থানার দারস্থ হয়েছি। যারা এধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা প্রত্যেকেরই শাস্তি চাই।’
এবিষয়ে মালদা থানার পুলিশ জানায়, ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মালদা জেলা আদালতে তোলা হবে। গত মাসে ২২ তারিখ ওই ছাত্র যৌন লালসার শিকার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।