রাওয়ালপিন্ডি: মরণবাঁচন ম্যাচ। জিততেই হবে পরিস্থিতি। যদিও যে লক্ষ্যে শুরুতেই ধাক্কা খেল পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ নয়, এক্ষেত্রে বাবর আজমদের পথের কাঁটা বিরূপ প্রকৃতি, তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টির দাপুটে ইনিংসের জেরে দ্বিতীয় তথা অন্তিম টেস্টের প্রথম দিন একটা বলও খেলা হল না। ফলে বাকি চারদিনে বাংলাদেশকে হারানোর লক্ষ্যপূরণের অ্যাসিড টেস্ট পাক ব্রিগেডের জন্য।
প্রথম টেস্টে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পাকিস্তান। ১৪তম সাক্ষাৎকারে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্ট অমীমাংসিত রাখতে পারলেও সিরিজ জয়ের ইতিহাসও হাতের মুঠোয়। দুই শিবিরের চাওয়া-পাওয়ার মাঝে হাজির বৃষ্টি। গতকাল থেকেই রাওয়ালপিন্ডিজুড়ে বৃষ্টি। বৃষ্টির দাপট এতটাই যে দুই দল মাঠে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। হোটেলেই কাটায়।
দুপুরের দিকে আম্পায়াররা একবার পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টি না কমায় পরিস্থিতি বদলায়নি। টসও পর্যন্ত করা যায়নি। শেষপর্যন্ত বৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রথম দিনের খেলা বাতিল। পাক-শিবিরের রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস। কালও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। পূর্বাভাস মিললে শান মাসুদ ব্রিগেডের অবস্থা সহজে অনুমেয়।
বৃষ্টিভেজা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেও চর্চার কেন্দ্রে শাহিন শা আফ্রিদির (বারোজনের দলে রাখা হয়নি) বাদ পড়া। প্রাক্তনদের অনেকেই জেসন গিলেসপি (হেডকোচ) এবং মাসুদের (অধিনায়ক) যে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রাক্তন ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ যেমন পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের টানা ব্যর্থতার দায় কি শুধু শাহিন আফ্রিদির?
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে শেহজাদ বলেছেন, ‘জিম্বাবোয়ের কাছে তোমরা হেরেছ। আয়ারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হার। হার ভারতের বিরুদ্ধেও। এবার বাংলাদেশ। সব ব্যর্থতার জন্য কি একমাত্র শাহিন দায়ী?’ প্রশ্নের জবাব নিজেই দিয়ে শেহজাদ দাবি করেছেন, ‘একা শাহিন দোষী হতে পারে না। সবাইকে কাঠগড়ায় তোলা উচিত। তাদের কথাও বলা উচিত।’
শেহজাদ আরও বলেছেন, ‘মানছি পারফরমেন্সে টান পড়েছে শাহিনের। আচরণ নিয়েও ওর সমস্যা আছে। সেদিক থেকে বাদ দেওয়া সঠিক উদ্যোগ। কিন্তু আবদুল্লা শফিক, সাইম আয়ুব, বাবর আজমদের পারফরমেন্স নিয়ে কী বলবেন? বাকিদের বাদ দিয়ে শুধু শাহিনকে বলির পাঁঠা করলে পাকিস্তানকে সাফল্যের ট্র্যাকে ফেরানো সম্ভব নয়।’
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিতর্কে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের পাশে দানিশ কানেরিয়া। প্রাক্তন পাক স্পিনারের মতে, পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া উচিত নয় ভারতের। প্রয়োজনে এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হোক। ভারতীয় দল তাদের ম্যাচগুলি অন্য দেশে খেলুক। কানেরিয়ার যুক্তি, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সবার আগে। বাকি কিছু তারপর। বিসিসিআইয়ের যে ভাবনা সঠিক।