উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্যান্সার আক্রান্ত এক বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে তাঁর স্বপ্নের নায়ক শাহরুখ খানকে স্বচক্ষে দেখার। তিনি খড়দার বাসিন্দা শিবানী চক্রবর্তী। মারণরোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করলেন কিং-খান। সোমবার রাতে ভিডিয়ো কলে বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বললেন শাহরুখ। কথা দিলেন মাছের ঝোল খাওয়ার। ভিডিওকলে স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে কথা বলে খুশিতে ডগমগ শিবানী দেবী।
বৃদ্ধার কাতর আর্জি ছিল, ‘মরে যাওয়ার আগে শাহরুখকে একবার দেখতে চাই, ওকে মাছের ঝোল রেঁধে খাওয়াতে চাই…’। ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়েছেন শাহরুখ খান। সামনাসামনি না হলেও ভার্চুয়ালি! হ্যাঁ, সোমবার রাতে ভিডিয়ো কলে শিবানী চক্রবর্তীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেন শাহরুখ।
উত্তর চব্বিশ পরগণার খড়দার দক্ষিণপল্লীর বাসিন্দা শিবানী চক্রবর্তী। শয়নে-স্বপনে-জাগরণে শুধুই শাহরুখ খান। ঘর ভর্তি শাহরুখ অভিনীত বিভিন্ন ছবির পোস্টার। শাহরুখের কারণেই কেকেআরের প্রতিটা ম্যাচ দেখেন শিবানী দেবী। বাজিগর ছবি দেখে মেয়ের নাম ‘প্রিয়া’ রেখেছিলেন তিনি। বাড়িতে দীর্ঘ বহু বছর ধরে শাহরুখের পুজো হয় চক্রবর্তী পরিবারে। বাদশার কোনও ছবিই দেখা বাদ যায়নি তাঁর। ২০২১ সাল নাগাদ কোমরের অপারেশন হয় শিবানী দেবীর। সেই সময়ই জানা যায়, ক্যানসার বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। ইতিমধ্যেই ১০টি কেমো হয়েছে। তবে শিবানী দেবীর ফিরে আসার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিজের মুখেই সেকথা জানান বৃদ্ধা। এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহখানেক আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের শেষইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন শিবানী দেবী। তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করলেন স্বয়ং শাহরুখ।
পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে দীর্ঘক্ষণ শাহরুখ ভিডিয়ো কলে কথা বলেন শিবানী চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে। শিবানী চক্রবর্তীর কন্যা জানান, ‘মায়ের সঙ্গে শাহরুখ খানের বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমার সঙ্গে কথা বলেছেন উনি। মায়ের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নেন, জানান উনি মায়ের জন্য প্রার্থনা করবেন। পাশাপাশি মায়ের চিকিৎসার জন্য সবরকম সাহায্যের কথা বলেন তিনি’। কলকাতায় এলে শিবানী দেবীর সঙ্গে দেখা করবার এবং তাঁদের হাতে তৈরি মাছের ঝোল খাওয়ার কথাও দিয়েছেন শাহরুখ। কিং খানের কাছে এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে খুশি শিবানীর পরিবার। স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে কথা বলে খুশিতে ডগমগ শিবানী দেবী। শিবানীর ইচ্ছে-পূরণ হয়েছে এমনটা বলাই যায়, সশরীরেও প্রিয় নায়কের সঙ্গে শীঘ্রই দেখা হোক তাঁর, প্রার্থনা সকলের।