ঢাকা: ৭৮ রানে চার উইকেট। ভারতীয় দলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাঝেও অভিজ্ঞতার পুঁজি নিয়ে পালটা প্রতিরোধ। শুভমান গিল, ঋষভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বীনের সঙ্গে বিরাট কোহলির উইকেট। কিং কোহলিকে ফিরিয়ে সাকিবের উচ্ছ্বাসেই বুঝিয়ে দিচ্ছি, তিনি কতটা তৃপ্ত।
কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। বাংলাদেশের জার্সিতে আর কি টেস্ট খেলতে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে? দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরবর্তী সিরিজে মিরপুরে বিদায়ি টেস্ট খেলতে চান। কিন্তু সেই ইচ্ছেয় বাধ সাধছে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, খুনের অভিযোগ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যে হাত তুলে নিয়েছে। জানিয়েছে, সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এরমধ্যেই নয়া টুইস্ট সাকিবকে নিয়ে। বাংলাদেশের ক্রীড়া উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সাকিব আগে তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করে জানান। তারপর নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগের সাংসদ ছিলেন সাকিব। ছাত্র আন্দোলনের সময় বারবার আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন সাকিব। যেদিকে ইঙ্গিত করে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, ‘উনি আগে রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করুক। মাশরাফি বিন মোর্তাজা (আরেক আওয়ামি লিগ সাংসদ) ইতিমধ্যে এনিয়ে কথা বলেছেন। আসলে জনগণের থেকে ঝুঁকি থাকলে কাউকেই নিরাপত্তা দেওয়া অসম্ভব। শেখ হাসিনাকেও নিরাপত্তা দেওয়া যায়নি। দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। কারণ, ৫-১০ জন নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভের হাত থেকে বাঁচানো যায় না।’
ক্রীড়া উপদেষ্টার যুক্তি, ক্রিকেটারের পাশাপাশি সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। আওয়ামি লিগের সাংসদ, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বাদ সাধছে যে রাজনৈতিক পরিচয়। খুনের অভিযোগ থেকে অবশ্য সাকিবকে দ্রুত ছাড় দেওয়ার ভাবনাচিন্তা রয়েছে সরকারের তরফে। ক্রীড়া উপদেষ্টার কথায়, দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে। সাকিব কোনওভাবে যুক্ত নন, দ্রুত ছাড় দেওয়া হবে।