উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইঙ্গিত মিলেছিল পদত্যাগের দিনই। এনসিপির সভাপতি পদে ইস্তফা প্রত্যাহার করবেন কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। তারপর থেকে তাঁর উপর চাপ বেড়েছিল। দলের অভ্যন্তরীণ কমিটি সকালেই তাঁর ইস্তফার সিদ্ধান্তকে খারিজ করেছিল। দলের সভাপতি হিসাবে থেকে যাওয়ার আর্জিও জানিয়েছিল। এরপরই শুক্রবার পাওয়ার নিজে জানিয়ে দেন সভাপতি পদে থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’-এর এই সিদ্ধান্তে আপাতত স্বস্তিতে দলের সহকর্মীরা।
গত মঙ্গলবার নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন পওয়ার। নিজের আত্মজীবনীর মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে তিনি তা জানিয়েও দিয়েছিলেন। এরপরই শুরু হয় টানাপোড়েন। পাওয়ারের যুক্তি ছিল তাঁর বয়স। ভগ্ন স্বাস্থ্যের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যদিও তা মানতে চাননি, ছগন ভুজবল, জয়ন্ত পাটিল, প্রফুল প্যাটেলের মতো নেতারা। নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে একটি কমিটিও গড়ে দেন পাওয়ার। যেই কমিটিতে ছিলেন তাঁর ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ার, পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে, ছগন ভুজবল, অনিল দেশমুখরা। এই কমিটিরই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী সভাপতি ঠিক করার কথা ছিল। কিন্তু তার আর দরকার পড়ল না। এদিন পাওয়ার নিজেই জানিয়ে দিলেন, তিনিই সভাপতি থাকছেন।