ছবি: সংগৃহীত
সুভাষ বর্মন, পলাশবাড়ি: ‘হ্যালো, আমি শিলবাড়িহাট (Shilbarihat) হাইস্কুলের হেডমাস্টার বলছি। আপনার ছেলের নাম তো মলয়। একটি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ আছে। তাড়াতাড়ি ছেলের সব নথিপত্র পাঠান। সঙ্গে কম্পিউটার সার্টিফিকেটও লাগবে।’ কিন্তু ছেলের তো কম্পিউটার সার্টিফিকেট নেই। এমনটা শোনার পরেই ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ওই ব্যক্তির বক্তব্য, ‘তাহলে দ্রুত তিন হাজার টাকা ফোন পে’র মাধ্যমে পাঠান। স্কুল থেকে কম্পিউটার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।’
খোদ প্রধান শিক্ষক ফোন করেছেন বলে কথা। তড়িঘড়ি ছেলের মোবাইল ফোন দিয়েই সব নথিপত্র ও তিন হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাসনা দাস সরকার। তবে ফোনের অপর প্রান্তে মোটেই সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন না। রবিবার সকালে এভাবেই প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত (Fraud Case) হয়েছেন মেজবিল পশ্চিমপাড়ার বাসনা।
মেজবিল বাসস্ট্যান্ডের পাশে বাড়ি মুক্তি দাস রায়ের। তাঁর কাছেও ওইরকম ফোন এসেছিল। মুক্তির মেয়ে ডিএলএড করছেন। তাঁকেও ফোন করে এক প্রতারক বলে, ‘একটি ব্যাংকে তিনটি শূন্যপদ রয়েছে। আপনার মেয়ের জন্য যদি চাকরি চান তাহলে দ্রুত সব নথিপত্র পাঠান। আর সঙ্গে তিন হাজার টাকাও দেবেন।’ মেয়ের চাকরি হবে। এমনটা ভেবে পরিচিত এক তরুণের মোবাইলের মাধ্যমে ওই গৃহবধূও মেয়ের সব নথি সহ তিন হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এভাবে এদিন সকালে পলাশবাড়ির আরও কয়েকজনের কাছে ফোন আসে। তবে সবাই অবশ্য ফাঁদে পা দেননি। হেডমাস্টারের কণ্ঠস্বর যে এটা নয়, তা বুঝতে পেরেছেন কেউ কেউ। তাঁরা আর ফাঁদে পড়েননি।
ঘটনার কথা শুনে হতবাক সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পীযূষকুমার রায় নিজেও। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহরে। তাঁরই পরিচয় ব্যবহার করে যে এমন প্রতারণা করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি তাঁকে স্থানীয় কেউ কেউ ফোন করে জানান। আর এসব শুনে তো তিনি তাজ্জব হয়ে যান। দ্রুত আলিপুরদুয়ার সাইবার ক্রাইম থানায় (Alipurduar Cyber Crime Police Station) তিনি বিষয়টি জানান। পরে পীযূষ বলেন, ‘আমার ও স্কুলের নাম জড়িয়ে কেউ যে এমন কাণ্ড করবে, তা ভাবতেই পারছি না। তবে এলাকার মানুষকেও সচেতন হতে হবে। বুঝতে হবে যে এভাবে চাকরি হয় না।’
বিকেলে মেজবিল পশ্চিমপাড়ার তরুণ মলয় সরকার সোনাপুর ফাঁড়িতে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। মলয়ের কথায়, ‘আমিও হঠাৎ বিষয়টি বুঝতে পারিনি। মা যখন হেডস্যরের কথা বলছিল তখন সত্যি ধরে নিয়েই ওই নথিপত্র ও তিন হাজার টাকা পাঠাই। কিন্তু পরে শুনি আরও একজনের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। আরও পরে ওই নম্বরে যতবার ফোন করেছি সুইচড অফ বলছিল।’ মেজবিলের মুক্তি বলেন, ‘হেডমাস্টার পরিচয় দেওয়ায় বিশ্বাস করেছিলাম।’
পুলিশ কিন্তু মানুষের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছে। সোনাপুর ফাঁড়ির ওসি অমিত শর্মার কথায়, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ফোন নম্বর ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইমের পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে। তবে এভাবে যে চাকরি হয় না তা এলাকার মানুষকে বুঝতে হবে।’
অভিরূপ দে, ময়নাগুড়ি: দু’বছর পর ফের জল্পেশ(Jalpesh) মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শিবলিঙ্গে পুণ্যার্থীরা জল ঢালতে…
শুভঙ্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)-র (SJDA) দুর্নীতির ঘা এখনও শুকোয়নি। সেই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা অধিবেশন শুরু হতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাহুল গান্ধি। শুক্রবার অধিবেশন চলাকালীন…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ মে অভিনেতা আদৃত রায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাঁধা পড়েছেন…
রাজগঞ্জ: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে গজলডোবা পর্যটন হাবের নৌকাবিহার। ফলে কার্যত…
কোচবিহার ও দিনহাটা: বিপরীতমুখী দুই ছবিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি বাড়ছে। কোনওভাবেই জবরদখল বরদাস্ত করা হবে…
This website uses cookies.