শীতলকুচি: কর্মীর অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হতে চলেছে মাথাভাঙ্গা মহকুমার শীতলকুচি ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ কেন্দ্রে। ফলে বিপাকে পড়বেন সাধারণ মানুষ। কর্মী নিয়োগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। কোচবিহারের জেলা প্রাণীসম্পদ উপ-অধিকর্তা মনোজ গোলদার বলেন, ‘বিষয়টি নজরে আছে। শীতলকুচি সহ অন্যান্য ব্লকে একই অবস্থা। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মী নিয়োগের কথা জানিয়েছি।’
শীতলকুচির বিএলডিও মৃন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘নিয়োগের বিষয়টি তাঁরা দেখেন।’ এখন শীতলকুচির ওই ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক ও একজন আধিকারিক রয়েছেন। কমপক্ষে দুজন চিকিৎসক ছাড়াও ল্যাবরেটরি টেকনিসিয়ান, ফার্মাসিস্ট, ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সহ তিনজন কর্মী প্রয়োজন। কর্মী কম থাকায় অফিসের কাজ করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
শীতলকুচি ব্লকের ডাকঘরায় অতিরিক্ত প্রাণীসম্পদ বিকাশ কেন্দ্র থাকলেও সেখানেও কোনও চিকিৎসক নেই। শীতলকুচি কেন্দ্রের চিকিৎসক রীতেশ ওঝাকে সামলাতে হয় ডাকঘরা কেন্দ্রটিকেও। শীতলকুচি, গোলেনাওহাটি, আক্রারহাট, পঞ্চারহাট, ফক্করেরহাট এলাকার মানুষ গৃহপালিত পশুর চিকিৎসার জন্য এই কেন্দ্রগুলির ওপর নির্ভরশীল। চিকিৎসক না থাকায় সেই চিকিৎসা ঠিতমতো হচ্ছে না।
সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্লকের ১০ হাজারের বেশি গোপালক। তাঁদেরই একজন বিশ্বম্ভর বর্মনের কথায়, ‘কৃষিপ্রধান শীতলকুচি ব্লকের প্রতিটি ঘরে গবাদিপশু রয়েছে। কিন্তু ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মাত্র ডাক্তার রয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি আরও ডাক্তার ও কর্মী নিয়োগ করা হোক।’