সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে মোবাইলে ‘না’ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতে পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন নিয়ে না আসে, তার জন্য অভিভাবকদের সচেতন করে তুলতে চাইছে পর্ষদ। যে কারণে টেস্ট পেপারকে হাতিয়ার করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে মালদায় (Malda)। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির (Siliguri) দীনবন্ধু মঞ্চে মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘হেড এগজামিনার’-দের নিয়ে বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকদের সচেতন করার বিষয়টি তুলে ধরেন পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলছেন, ‘অভিভাবকদের সচেতন করতে আমরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছি। বাচ্চারা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে না আসে, তা দেখার জন্য অভিভাবকদের আবেদন করা হয়েছে। অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাঁদের উদ্দেশে টেস্ট পেপারে আলাদা পৃষ্ঠায় পরীক্ষার্থীরা যাতে মোবাইল না নেয়, তা উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা ১৫ থেকে ১৬ বছরের একজন পরীক্ষার্থী রোজগার করে মোবাইল কিনতে পারে না।’
মাধ্যমিক (Secondary Exam) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অতীতে অনেকবার রাজ্য সরকারের ‘নাক কাটা’ গিয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে গত বছর থেকে প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড, সিরিয়াল নম্বর চালু করা হয়েছে। গত বছর মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের যেই ঘটনা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথমে ছিল মালদা জেলা। মোবাইল নিয়ে আসায় গত বছর ৪৫ জনের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। মোবাইল না নিয়ে আসার বিষয়টি নিয়ে স্কুলগুলির সামনে পোস্টারিংও করা হয়েছিল। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস করিয়ে বাইরের কিছু লোক পরীক্ষা প্রক্রিয়াটি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। বাচ্চাদের প্রলোভন দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে চক্রের মধ্যে ঢুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনটা বন্ধ করতে ৪২ দিন যাবৎ প্রতিটা জেলায় প্রশাসন ও শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। মালদার ওপর বাড়িত নজর রয়েছে।’
এবছর মাধ্যমিক ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সকাল ১০.৪৫ মিনিট প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে ২টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে নজরদারির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে। সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং টিম সার্ভে করবে। যেখানে স্কুলগুলির ‘ফিটনেস’ দেখা হবে। পাশাপাশি পরীক্ষার মূল্যায়ন যাতে ভালোভাবে হয় সেদিকে বাড়তি নজরদারির কথাও পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন।