ফাঁসিদেওয়া: মুরালীগঞ্জ হাইস্কুলে (Muraliganj High School) রজত জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষ্যে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হল। দেশ-বিদেশের নানা গুনীজনের উপস্থিতিতে রবিবার স্কুল মাঠে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি) এর ডিরেক্টর ছন্দা রায়। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে স্কুলের পত্রিকা ‘প্রথম আলো’-র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
২০০০ সালে ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামে শুরু হয়েছিল এই স্কুলের পথচলা৷ পরবর্তীতে, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের পাশাপাশি, বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে যামিনী রায় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই স্কুল। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চৌধুরী, ভুটানের জেলা শিক্ষা প্রশাসক এইচবি বিশওয়া, নেপালের শিক্ষাবিদ চম্পা তামাং, বাংলাদেশ থেকে আসা মোল্লা শামিম আখতার সহ বিশিষ্টরা অতিথি আসন আলোকিত করেছিলেন।
এসসিইআরটি এর ডিরেক্টর ছন্দা রায় মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘মুরালীগঞ্জে না এলে, এই স্কুল যে এতটা উন্নতি করেছে তা জানতেই পারতাম না।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন সামসুল আলম বলেন, ‘সরকারি স্কুলকে যখন সমাজের প্রায় সর্বস্তরের মানুষ উপেক্ষা করছে, অভিভাবকরা আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন৷ এতে আমরা গর্বিত। একসময় স্কুলে খাতায়-কলমে ১৫০ পড়ুয়া ছিল৷ এখন সেটা দু হাজার ছাড়িয়েছে।’
অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে উপস্থিত বিশিষ্টরা উত্তরবঙ্গ সংবাদ সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা স্মারক তুলে দিয়েছেন৷ তবে এত সুন্দর অনুষ্ঠানকে শেষ মুহূর্তে কিছুটা বিতর্কও ছুঁয়ে গিয়েছে। এদিকে, অনুষ্ঠান মঞ্চে ডাক না পেয়ে পৃষ্ঠপোষক কাজল ঘোষ, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রোমারেশমি এক্কা সহ একঝাঁক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনঃক্ষুণ্ন হয়ে বেরিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে কাজল ঘোষ বলেন, ‘অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে অনেকেই আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা স্কুলের জন্য অনেক কাজ করেছেন। অথচ, স্কুলের তরফে তাঁদের নুন্যতম সন্মান করা হয়নি। অসম্মানিত হয়েই তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন।’ যদিও, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম বলেন, ‘এমন কোনও বিষয় নেই৷ দলের কর্মীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তাঁরা চলে গিয়েছেন।’