উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির আঁচে তপ্ত মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ি। কার্যত এই মুহূর্তে ৩টি শিবিরে বিভক্ত ঠাকুরবাড়ির হর্তা-কর্তারা। একদিকে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও তাঁর অনুগামীরা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের গোষ্ঠী। এতদিন ভাই শান্তনুর সঙ্গে থাকলেও সম্প্রতি পৃথক গোষ্ঠী তৈরি করেছেন আরেক বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরও। আর এই ৩ শিবিরের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে মতুয়া রাজনীতি। এবার এসআইআরের (SIR) বিরোধিতায় আমরণ অনশনে (Hunger Strike) বসলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীরা। বুধবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে অনশনে বসেন তাঁরা। এদিন প্রতিবাদ মঞ্চে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। বিশেষ কাজে বাইরে থাকায় তিনি ভার্চুয়ালি অনশনের সূচনা করেন।
জানা গিয়েছে, আন্দোলনের রণকৌশল ঠিক করতে রবিবার ঠাকুরনগরে বৈঠকে বসেছিল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের মমতাবালা গোষ্ঠী। মমতাবালার নেতৃত্বে বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতেই সেই বৈঠক হয়। বৈঠকে দু’টি বিষয় নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় বলে জানা যায়। প্রথমত, এসআইআর প্রক্রিয়ায় মতুয়া ভোটারদের নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা এবং প্রয়োজনে আন্দোলন কতদূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
মমতাবালার কথায়, যেভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে, তাতে হয়তো দেখা যাবে, বাদ পড়াদের তালিকার ৯৫ শতাংশই মতুয়া। যদিও বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কথায়, ‘মতুয়ারা সিএএ-তে আবেদন করলে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব যাঁদের ২০০২ সালের লিস্টে নাম নেই, তাঁদের নাম যেন বাদ না হয়।’ তবে মতুয়ারা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে।

