Narendra Modi on Chopra Case | ‘বোনটা চিৎকার করছিল, কিন্তু কেউ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি’, মোদির কণ্ঠে চোপড়ার ঘটনা

উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বোনটা চিৎকার করছিল, কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি’, চোপড়ায় (Chopra) যুগলকে নৃশংসভাবে মারধরের ঘটনায় রীতিমতো হতাশা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার রাজ্যসভায় মোদি বলেন, ‘কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে কিছু বলছি না। রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্যও কিছু বলছি না। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া পশ্চিমবঙ্গের একটা ভিডিও দেখলাম। একজন মহিলাকে সকলের সামনে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে। বোনটা চিৎকার করছিল। কিন্তু ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। ভিডিও বানাতে ব্যস্ত ছিলেন।’ তবে সরাসরি তৃণমূলের নাম করে সেভাবে আক্রমণ করেননি প্রধানমন্ত্রী।

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার ছবি দেখলে শিউরে উঠতে হবে। এর থেকে বড় লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক বিষয় কিছু হতে পারে না যে এরকম দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে বিরোধী নেতারা নিজেদের মুখে পুরোপুরি তালা লাগিয়ে বসেছিলেন।‘ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না নিয়ে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘যিনি নিজেকে প্রগতিশীল নেত্রী হিসেবে দাবি করে থাকেন, তিনিও মুখে তালা লাগিয়ে বসে আছেন। দেশ তো যন্ত্রণা পায়, মা-বোনেরা যন্ত্রণাও পান।’

উল্লেক্ষ্য, সম্প্রতি চোপড়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেই ভিডিওতে দেখা যায় পরকীয়ার অভিযোগে দুই তরুণ-তরুণীকে নৃশংসভাবে মারধর করছে তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি নামে এক তৃণমূল নেতা। হাতে একটি গাছের ডাল নিয়ে ওই তরুণীকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা যায় জেসিবিকে। চুলের মুঠি ধরে একাধিকবার ওই তরুণীকে লাথি মারে জেসিবি। তরুণকেও নৃশংসভাবে পেটায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। সেই নির্মম অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয় সর্বত্র। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তাজিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার রাতে তাজিমুলের ঘনিষ্ঠ বুধা মহম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।