পার্থসারথি রায়, সিতাই: সিতাই (Sitai) বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (By-Poll) দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে তৃণমূলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচনি কর্মসূচি। তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটা-১ (ক) ব্লক সভাপতি সুধাংশুচন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা এই বিধানসভার উপনির্বাচনকে লক্ষ করে ধারাবাহিকভাবে বুথভিত্তিক প্রচার কর্মসূচি আগে থেকেই চালাচ্ছি। বুধবার ১৭টি অঞ্চলে নির্বাচনি কর্মীসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে অঞ্চলভিত্তিক কর্মীসভার সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনিও রাখা হয়েছে।’ এই উপনির্বাচনে তৃণমূল পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হবে বলে ব্লক সভাপতির দাবি। উলটোদিকে এখনও পর্যন্ত ময়দানে নেই বিজেপি।
মঙ্গলবার কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার ৬ নম্বর সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ নভেম্বর ওই আসনে উপনির্বাচন হবে। গত লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে যায়। সিতাই বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ওই আসনে জয়ী হন। নির্বাচনিবিধি মেনে জগদীশ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন।
এই বিধানসভা কেন্দ্রে দিনহাটা-১ (ক) এবং সিতাই, ব্লক দুটিতে মোট ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। সেই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে ১৮-২৬ অক্টোবর পর্যন্ত আঞ্চলিক নির্বাচনি কর্মীসভা চলবে। ১৮ অক্টোবর মাতালহাট এবং ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মীসভা রয়েছে। ১৯ অক্টোবর কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে গোসানিমারি-১ এবং ২ পঞ্চায়েতে। ২০ অক্টোবর আদাবাড়ি এবং ব্রহ্মোত্তরচাতরা, ২১ অক্টোবর সিতাই-১ এবং ২ পঞ্চায়েতে কর্মীসভা রয়েছে। ২২ অক্টোবর চামটা, ২৩ অক্টোবর গিতালদহ-১ এবং ওকরাবাড়ি, ২৪ অক্টোবর বড় শৌলমারি এবং বড় আটিয়াবেড়িয়া-১ পঞ্চায়েতের নির্বাচনি কর্মীসভা রয়েছে। ২৫ অক্টোবর কর্মীসভা হবে গিতালদহ-২ এবং বড় আটিয়াবাড়ি-২। ২৬ অক্টোবর পুঁটিমারি-২ এবং পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মীসভা হবে। কোনও কর্মসূচি বেলা তিনটে এবং কোনওটা বিকেল চারটে থেকে হবে বলে ঠিক হয়েছে। কর্মীসভায় বুথভিত্তিক প্রচারের পর্যালোচনার পাশাপাশি অঞ্চল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দলের প্রচারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপুল মার্জিনে জয়ী হবেন।’ গত লোকসভা নির্বাচনের পর এই উপনির্বাচনেও হতে চলা রেকর্ড ২০২৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলে সম্পূর্ণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশাবাদী।
অন্যদিকে, এদিন পর্যন্ত এই উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে বিজেপির কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। বিজেপির সিতাই বিধানসভার কনভেনার দীপক রায় বলেন, ‘আমরা যথাসময়ে এই উপনির্বাচনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। এই উপনির্বাচনে আমরা একশো শতাংশ জয়ের ক্ষেত্রে নিশ্চিত।’