বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: পাঁচশো টাকার পর সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে ২০০ টাকার জাল নোট, আর তাতে পাওয়া যাচ্ছে জেহাদি-যোগ। সম্প্রতি জাল টাকা পাচারে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, পাকিস্তানের করাচি থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে ঢুকছে ভারতীয় জাল নোট (Fake note)। সেই টাকা চলে যাচ্ছে ঢাকাতে এরপর যমুনা, ময়মনসিংহ, নাটোর সর্বশেষ রাজশাহী পৌঁছে যাচ্ছে। রাজশাহীর বাগমারা এলাকায় রয়েছে জাল নোটের হাব। আর সেখান থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশ করছে জাল নোট। আর এ থেকেই জাল নোট পাচারের সঙ্গে জেহাদি-যোগ পাচ্ছে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, মালদার মতো উত্তর দিনাজপুর জেলার (Uttar Dinajpur) বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় ওই জাল নোট পাচার সিন্ডিকেট।
গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন, জঙ্গি সংগঠনগুলি জাল নোট ছড়াতে এপারের গ্রামীণ দোকানের হালখাতা, মেলা আর হাট, বাজারকে টার্গেট করেছে। সম্প্রতি জাল নোট সহ তিনজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর এমন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংস্রব রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট ডি-কোম্পানির। যারা বাংলাদেশের লালমণিরহাটে স্ট্যাকইয়ার্ড চালু করেছে।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে এসটিএফের আধিকারিক উত্তম শর্মার নেতৃত্বে পানিশালা এলাকা থেকে এক মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকার নোট জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার আবদুলপুর সংলগ্ন মোহনপুর গ্রামে। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, চোরাপথে মালদা, মুর্শিদাবাদ হয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলায় জাল নোট ঢোকানোর চেষ্টা চালান হচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় জাল নোট কারবারিদের গতিবিধির উপর নজরদারি বাড়িয়েছে এসটিএফ ও গোয়েন্দা পুলিশ।